সম্প্রতি শহরে ঘটে গেছে এক দুৰ্ভাগ্যজনক ঘটনা। এনআরএসের দুর্ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। শহরের রাস্তায় কুকুরদের বাড়বাড়ন্ত অবস্থা ভাবিয়ে তুলেছে পুর প্রশাসনকেও। স্বাস্থ্য দফতরের সাথে একটি বৈঠকে বসেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখানে তিনি পথকুকুরদের নির্বীজকরণে পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি স্পষ্ট জানান যত দ্রুত সম্ভব নির্বীজকরণের কাজ শুরু করতে হবে। তার জন্য ল্যাপারোস্কোপিক মেশিন কেনার কথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
মেয়র স্পষ্ট জানান, যেভাবে শহরের রাস্তায় কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে তেমনই প্রচুর কুকুর রাস্তায় গাড়ি চাপা পড়ে মারা যাচ্ছে। তিনি জানালেন, অনেক জায়গায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেও থাকতে হচ্ছে এইসব কুকুরদের। গতবছর এক বেসরকারি সংস্থা পথকুকুরদের নিয়ে একটি গণনা করে। সেখানে দেখা যায়, শহরের পথে তখনই প্রায় ৭০,০০০ কুকুর ছিল। একবছরে সেই সংখ্যাটা আরোও বেড়েছে বলেই সন্দেহ পুরকর্তাদের। তাই যত দ্রুত সম্ভব অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কুকুর নির্বীজকরণের কাজ এগোনোর কথা জানাচ্ছেন তারা। বর্তমানে ধাপার একটি ডগপাউন্ডে প্রতিদিন মোট ২০টি করে কুকুরের নির্বীজকরণের কাজ চলছে। মেয়র জানান, এই সংখ্যাটি প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। প্রতিদিন যাতে ১০০০ টি করে কুকুরের অপারেশন করা সম্ভব হয় সেই দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ধাপার ডগপাউন্ডটিকে পাঁচতলা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যার নিচের তলায় প্রায় হাজার খানেক কুকুরের অস্ত্রোপচারের জায়গা করা হয়েছে এবং উপরের তলায় অস্ত্রোপচারের পর কুকুরগুলিকে রাখার ব্যবস্থা করার কথা ভাবা হচ্ছে। সাধারণত অস্ত্রোপচারের পর ৭ দিন করে রাখতে হয় প্রতিটি কুকুরকে। তাই ল্যাপারোস্কোপির সাহায্যে অস্ত্রোপচারের কোথাও ভাবা হচ্ছে পুরসভার তরফ থেকে যাতে ৩ দিনের মধ্যে কুকুরটিকে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া যায়।এই বিষয়ে পশু চিকিৎসকদের সাথে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন মেয়র। এই সম্পূর্ণ প্রকল্পটিকে কত অর্থ লাগবে তা নিয়েও একটি রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরকে।