দেশের মধ্যে সেরা টুরিস্ট ডেস্টিনেশনের লিস্ট তৈরী করতে বললে বোধহয় এমন কোনও ভ্রমণপ্রিয় মানুষকে পাওয়া যাবে না যার লিস্টে ‘লাদাখ’ নামটা পাওয়া যাবে না। লাদাখ সব সময়ই পর্যটকদের ‘ড্রিম ডেস্টিনেশন’। ২০২৩ এর বিশ্বসেরা পর্যটন কেন্দ্রের তালিকায় এবার জায়গা করে নিয়েছে লাদাখ।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন টাইম পত্রিকার সেরা পর্যটন কেন্দ্রের তালিকায় স্থান পেয়েছে লাদাখ। সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলাও।
পাহাড়ী সৌন্দর্য, হিমালয়ের মরুভূমি, আর অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, তিব্বতি-বৌদ্ধ সংস্কৃতির মিলন একাধিক কারণে এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে লাদাখ। ময়ূরভঞ্জ জায়গা পেয়েছে বিরল প্রজাতির বাঘের জন্য।
ভারতের এই দুটি স্থানকে পত্রিকায় সেরা হিসেবে স্থান দেওয়ার কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে টাইম পত্রিকা লিখেছে, হিমালয়ের কোলে লাদাখের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুগ্ধ করে। তার সঙ্গে এই ভূ খন্ডের সঙ্গে মিশেছ তিব্বতি-বৌদ্ধ সংস্কৃতির প্রবাহ। এই ভূমিকে জানতে, নতুনভাবে আবিষ্কার করতে পর্যটকদের বারবার আসতে হবে লাদাখ।
লাদাখের রাজধানী লেহ থেকে ১৬৮ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে হানলে নামের একটি গ্রামে এ বছর ভারত সরকার দেশের প্রথম ফার্স্ট ডার্ক স্কাই রিজার্ভ তৈরি করেছে। এই গ্রাম থেকে বছরে ২৭০টি পরিষ্কার আকাশের রাত দেখা যায়। যা জ্যোতির্বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এক বিস্ময়ের জায়গা।
ময়ূরভঞ্জে বিশ্বের একমাত্র বিরল প্রজাতির কালো বাঘ দেখা যায়। ছৌ নাচ, স্থানীয় সংস্কৃতি, সিমলিপাল জাতীয় উদ্যানের জন্য পর্যটকদের কাছে এই জেলা ওড়িশার বড় টান। ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত ময়ূরভঞ্জের ছৌ নৃত্যের উৎসব আগামী এপ্রিল মাসে হবে।
প্রসঙ্গত, গতবছর সেরা পর্যটন কেন্দ্রের তালিকায় নাম উঠেছিল কেরল এবং আমেদাবাদের।