একদিকে যখন ইংরেজদের অত্যাচারে জড়জড়িত গোটা বাংলা, তখন ফরাসী উপনিবেশ থাকার ফলে সেই অত্যাচার থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছিল চন্দননগর। তখন বাংলার বুকে এটি একমাত্র জায়গা ছিল যেখানে সহজে ইংরেজরা প্রবেশ করতে পারত না। তাই ইংরেজদের হাত থেকে বাঁচতে বিপ্লবীরা গা ঢাকা দিত চন্দননগরে। এ তো গেল ইতিহাসের কথা। আরও একটি বিষয়ে যার জন্য চন্দননগর বিখ্যাত, তা হল সেখানকার জগদ্ধাত্রী পুজো।
আর সেই উৎসবের সাক্ষি থাকতে জিয়ো বাংলা পৌঁছে গিয়েছিল সেখানে। আর সঙ্গে ছিল কুঠিরমঠ (উত্তর) সার্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সদস্যরা। ১৯৯৪ সালে শুরু হয় তাদের জগদ্ধাত্রী পুজোর পথচলা, দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেছে ২৪ বছর। এইবছর ২৫তম বর্ষ অর্থাৎ রজত জয়ন্তি বর্ষে পদার্পন করল তাদের পুজো। আর তাই দর্শনার্থীদের জন্য যে চমক থাকছেই তা বলাই বাহুল্য। হাওড়া স্টেশনে থেকে বর্ধমান লোকাল, কাটোয়া লোকাল বা ব্যান্ডেল লোকাল ধরে নামতে হবে চন্দননগর। সেখান থেকে টোটো ধরে বাগবাজার বাস স্টপ সংলগ্ন কুঠির মঠের নিকটে অবস্থিত এই পূজা মন্ডপ।