সামান্য হার্টের রোগ থেকে শুরু করে হার্টের বাইপাস সার্জারি, হৃদয়ঘটিত সমস্যা সবসময়ই ভয় পায় মানুষ। তার উপর যদি হৃদপিন্ড প্রতিস্থাপনের মতন ঘটনা হয় তাহলে তো কথাই নেই। রোগীর বাড়ির লোক প্রায় ধরে বেঁধে বসিয়ে রাখেন রোগীকে। কিন্তু সেই ভয় থেকে বেরিয়ে এসে প্রতিস্থাপিত হৃদয় নিয়ে কেউ ম্যারাথন দৌড়ে অংশগ্রহন করেছেন বলে কখনও শুনেছেন কি? তেমনই এক অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছে রুপায়ন রায়। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে কাশি, রক্তবমি, এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন রূপায়নবাবু। চিকিৎসকরা জানান, প্রায় শেষ সময় উপস্থিত তার হৃদযন্ত্রের। তাই শীঘ্রই হৃদয় প্রতিস্থাপন না করা হলে বাঁচানো যাবে না তাকে। সেই অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ৩১শে জুলাই প্রতিস্থাপিত হয় তার হৃদযন্ত্র। নতুন হৃদযন্ত্রের সাথে বাঁচার নতুন উদ্দম পান রূপায়নবাবু। কিন্তু হার্ট ট্রান্সপ্লান্টের পেশেন্টদের মেনে চলতে হয় কিছু বিধিনিষেধ। জোরে দৌড়ানো, সাঁতার কাটা প্রভৃতি বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে এইসব রোগীর ক্ষেত্রে। তাই প্রথমে হালকা জগিং করতে শুরু করেন রূপায়ণবাবু। তখন থেকেই ম্যারাথনে অংশ নেওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেন তিনি। ডাক্তারের নির্দেশে একটু একটু করে দৌড়ানো শুরুও করেণ তিনি। ২০১৭ সালে বিএসএফ-এর পাঁচ মিটারের "রান ফর মার্টায়ার"-এ অংশ নেন। তারপর টিএসকে ২৫কে রানের পাঁচ মিটারেও অংশ নেন তিনি। তারপর আর থামেননি। চলতি বছরে “এয়ারটেল হাফ ম্যারাথনে” অংশ নিয়ে সকলকে চমকে দিতে চলেছেন তিনি। তিনি জানান, পুরো ২১ কিলোমিটারই দৌড়াবেন তিনি। অন্যের কাছ থেকে পাওয়া হৃদযন্ত্রের মাধ্যমে পেয়েছিলেন এক নতুন জীবন। সেই নতুন জীবনকে আরোও আকর্ষণীয় করে তুলতে এইরকম একটি সিদ্ধান্ত নেন রূপায়ণবাবু। তার কথায়,
এভাবেও ফিরে আসা যায়...