নামেই '৪২', প্রকৃতপক্ষে সংখ্যা টা কিন্তু '৬৫'-তে এসে থেমেছে। এইমুহূর্তে চারিদিকে কিন্তু এই দুই সংখ্যা নিয়ে চলছে জোর চর্চা। কারণ, সম্প্রতি দেশে অন্যতম বড় বড় শহর গুলিকে টেক্কা দিয়ে আমাদের ঐতিহ্যের শহর- কলকাতার একটি নব নির্মিত বহুতল 'দ্য ৪২'-এর মাথায় উঠেছে দেশের সর্বোচ্চ বিল্ডিংয়ের শিরোপা।
চৌরঙ্গির জে এন রোডে অবস্থিত গগনচুম্বী ৬৫ তলার এই বিল্ডিং টিকে শহরের প্রায় সমস্ত প্রান্ত থেকেই দেখা যায়। এতদিন পর্যন্ত কলকাতার স্কাইলাইনে উঁচু বিল্ডিং হিসেবে একে অপরের সঙ্গে পাল্লা দিত টাটা সেন্টার, চ্যাটার্জি ইন্টারন্যাশনাল, এভারেস্ট হাউস এই সুউচ্চ বিল্ডিং গুলি। কিন্তু সেই চেনা দম্ভ দুম করে ভেঙে দিল ২৬৮ মিটার উচ্চতার 'দ্য ৪২'। শুধু কি তাই? এতদিন পর্যন্ত দক্ষিণ মুম্বইয়ের ‘দ্য ইমপেরিয়াল’ ছিল দেশের সর্বোচ্চ বহুতল, 'দ্য ৪২' দর্প চূর্ণ করেছে তারও। তাই শুধু কলকাতারই নয়, এটি হয়ে উঠেছে দেশের সর্বোচ্চ স্থাপত্য নিদর্শন।
৬৫ তলা এই বিল্ডিংটির আরও চারটি ফ্লোর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনুমতি না মেলায় ৬৫ তলাতেই শেষ হয় এর উচ্চতা। কলকাতার দ্বিতীয় উচ্চতম বহুতল ১৬৭.৬ মিটার উঁচু ‘আরবানা’। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ফোরাম অ্যাটমোস্ফিয়ার (১৫২ মিটার) এবং ওয়েস্টইন (১৫০ মিটার)। সব মিলিয়ে শহরে ১৩টি উঁচু বহুতল রয়েছে যেগুলির উচ্চতা ১০০ মিটারের বেশী। তার মধ্যে সাউথসিটিও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সর্বোচ্চের শিরোপা না পেলেও শহরের ভিড় থেকে বাইপাসের দিকে পা বাড়ালেই চোখে পড়ে একের পর এক বহুতল, যেগুলি দ্রুততার সঙ্গে মাথাচাড়া দিচ্ছে শহরের বুকে। তার মধ্যে অন্যতম সায়েন্সসিটি সংলগ্ন ‘দ্য অ্যাটমোস্ফিয়ার’। বহুতলটির উচ্চতা ১৫২ মিটার। ৩৮ তলা বিশিষ্ট দুটি বহুতলকে যোগ করেছে সুইমিং পুল এবং ক্লাব হাউজ। দ্য অ্যাটমোস্ফিয়ারের কাজ সম্পুর্ণ শেষ। কাজ চলছে ইন্টেরিয়ারের। দ্য অ্যাটমোস্ফিয়ারের পরেই রয়েছে কমার্শিয়াল বিল্ডিং ‘ইউনিক সেন্টার’। ১৬৭ মিটার উঁচু এই বহুতলটিও প্রায় শেষের পথে। বহুতলে ১০৪টি অফিস ২০২০ সালের মধ্যে কাজ শুরু করার অপেক্ষায়। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, মুম্বইতে তৈরী হচ্ছে ৯০ তলা বিল্ডিং। যতদিন না তা মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে ততদিন শহরবাসী তো বটেই, সারা দেশবাসীর কাছে 'দ্য ৪২'-ই হয়ে থাকবে এক আশ্চর্য নিদর্শন।