কলকাতার সেই দীর্ঘ প্রতীক্ষা, এবার তার অবসান ঘটল। অবশেষে বিশ্বকাপ এল ইডেনের মাঠে। কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীরা ‘বিশ্বকাপ ট্রফি’ দেখার একটা সুযোগ পেল। যদিও রোহিত শর্মার দল এই ট্রফি নিতে পারবে কিনা কেউ জানেনা, তবে সেই ট্রফি চোখে দেখে আপাতত মন শান্ত রাখার কথাই ভাবে সবাই।
শুক্রবার দেশের বিভিন্ন শহর ঘুরে বিশ্বকাপ ট্রফি এল কলকাতা এবং শনিবার পর্যন্ত থাকবে এই শহরে। ক্রিকেটের নন্দনকাননে জমকালো আলো সহ আতসবাজির মাধ্যমে মাধ্যমে বিশ্বকাপ ট্রফিটি প্রদর্শিত হল।
সেদিন এই বিশেষ মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের মধ্যে ছিলেন লিয়েন্ডার পেজ, ঝুলন গোস্বামী, অশোক দিন্দা, দোলা ব্যানার্জি, রাহুল ব্যানার্জি, সৌরভ ঘোষাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে একদিনের বিশ্বকাপের পুরোনো ক্লিপিংস দেখানো হয়। ক্রিকেট সহ বিভিন্ন ক্রীড়াক্ষেত্রে বাংলা থেকে যারা দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন, তাঁদের ছবিও দেখানো হয়। কিন্তু সেখানে দেখা যায়নি পঙ্কজ রায়, মহম্মদ শামির ছবি। অন্যদিকে মুকেশ কুমার, শাহবাজ আহমেদ, কিংবদন্তি চুনী গোস্বামী, পিকে ব্যানার্জিদের ছবিও ছিল না। যদিও সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গাঙ্গুলি মহম্মদ শামির ছবি না রাখার ভুল স্বীকার করে নেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছিলেন, সেটি পড়ে শোনান ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তারপর সেটি তুলে দেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গাঙ্গুলির হাতে। অন্যদিকে লন্ডন থেকে বিশেষ বার্তা পাঠান ভারত দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। প্রাক্তন ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়া সিএবি কর্তাদের শুভেচ্ছবার্তা পাঠান যাতে ঠিকভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন হয়।
স্নেহাশিস গাঙ্গুলি জানিয়েছেন যে ‘ক্রিকেটারদের পাশাপাশি ক্রীড়াজগতের অন্যান্যদের ছবি রাখা হয়েছে। মাঝেমধ্যে ভুল হতে পারে। এটা এমনই একটা ভুল। শামির ছবি মিস হওয়ার জন্য আমরা খুবই দুঃখিত। তবে পাশাপাশি জানানো হয়। কোনও প্রয়াত বেক্তিদের ছবি রাখা হয়নি।‘
স্নেহাশিস গাঙ্গুলি এটাও জানিয়েছেন যে বিশ্বকাপ আয়োজনে তিনি কোনও ত্রুটি রাখতে চান না । তিনি জানান নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। ইডেনের মাঠে ১৯৯৬ সালের পর বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল হবে। মুখোমুখি হতে পারে ভারত-পাক দল। সেই ম্যাচের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ভাবছেন সিএবি কর্তারা।