এক বগির এসি ট্রাম আসতে চলেছে কলকাতায়

পরিকল্পনামাফিক এগোলে দু'তিন বছরের মধ্যে আমূল পরিবর্তন হয়ে যাবে কলকাতার ট্রাম। ট্রাম, কলকাতার ঐতিহ্যশালী বিষয়গুলির মধ্যে অন্যতম। কিন্তু বলতে দ্বিধা নেই ট্রামের মাধ্যমে রাজ্য পরিবহন দফতরের তেমন আয়ের সংস্থান নেই। তবে বেশ কিছু বছর থেকেই ট্রামকে অত্যাধুনিক করার জন্য বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা গৃহীত হচ্ছে। এবারেও আর একটি বড় পদক্ষেপের পথে এগোচ্ছে রাজ্য পরিবহন দফতর। 

                  যদিও এর মধ্যেই কয়েকটি ট্রাম এখনই এক বগির রয়েছে। শুক্রবার ময়দানের পরিবহণ তাঁবুতে পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এক ঘরোয়া আলোচনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে জানান, আগামী দু'তিন বছরের মধ্যে কলকাতায় যত ট্রাম আছে, প্রত্যেকটিকে এক বগির করে দেওয়া হবে পাশাপাশি সব ট্রাম শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হয়ে যাবে। সেই ট্রামগুলি চালিয়ে পরিবহন দফতর ইতিমধ্যেই ভাল সাড়া পেয়েছে। অনেক প্রবীণ নাগরিকও এতে খুশি হয়েছেন।

                           ট্রাম গবেষক শৌভিক মুখোপাধ্যায় জানান, কলকাতা শহরে যানবাহনের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এক বগির ট্রাম চালানোর সিদ্ধান্ত যথেষ্ট যুগোপযোগী। ১৮৭৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় প্রথম ট্রাম চলেছিল। যদিও সেই বছরই ঘোড়ায় টানা সেই ট্রাম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল লোকসানের কারণে। তারপর ১৮৮০ সালের ১ নভেম্বর লর্ড রিপন আবার ট্রাম চালু করেন। ১৯০২ সালের ২৭ মার্চ প্রথম ইলেকট্রিক ট্রামের স্বাদ পেয়েছিল কলকাতা। সেই সময় প্রথম যে রুটে ট্রাম চলেছিল, তা ছিল এসপ্লানেট-খিদিরপুর রুট। সেটিই সবচেয়ে পুরোনো রুট শুধু কলকাতা ট্রামওয়েজের ক্ষেত্রেই নয়, গোটা এশিয়ার মধ্যে ট্রাম রুট হিসেবে এটি প্রাচীন। এছাড়াও এসপ্লানেড-খিদিরপুর রুটটি ট্রামলাইনের সবচেয়ে নান্দনিক রুট ও বটে। ময়দানের ওপর দিয়ে ট্রামে চড়ে যেতে যেতে এখনও, এই জেট গতির যুগেও আমরা নস্ট্যালজিয়ায় বুঁদ হয়ে যাই। এবারে একবগির ঝাঁ চকচকে এসি ট্রামের পথ চেয়ে কলকাতা অবশ্যই দিন গুনবে। যা নতুন মোড়কে শহরের ঐতিহ্যকে আরও দৃষ্টিনন্দন করে তুলবে। 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...