গতকাল 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ' দিবস উপলক্ষে হরিশ মুখার্জি রোড এবং বেণীনন্দন স্ট্রিটের সংযোগস্থলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি এদিন নির্দেশ দিলেন, কলকাতা পুলিশ হাসপাতালের অর্ধেক বেডে এবার থেকে চিকিৎসা পাবেন সাধারণ মানুষ। পিজি হাসপাতাল বা আইপিজিএমঅ্যান্ডইআর প্ৰতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত করা হবে পুলিশ হাসপাতালের ওই অংশ। পুলিশ হাসপাতালের বেশিরভাগ বেড-ই খালি পড়ে থাকত। সেটা মুখ্যমন্ত্রীর গোচরে এসেছিল বেশ কিছুদিন আগে। সেই সময়েই রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব রাজীব সিনহাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাসপাতালটি অধিগ্রহণ করে পিজি-র সঙ্গে যুক্ত করার জন্য। সেইমতো স্বাস্থ্য দফতরের দিক থেকে যাবতীয় প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়ে গেছে বলে সূত্রের খবর।
সোমবারের অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে কলকাতা পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ট্রাফিক পুলিশকর্মী তপন ওঁরাওয়ের হাতে সাহসিকতার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা সহ শীর্ষ পুলিশকর্তারা। সম্প্রতি কড়েয়া থানা এলাকায় সৈয়দ আমির আলি এভিনিউতে নাকা চেকিং-এর সময়, হেলমেটহীন বেপরোয়া এক বাইক চালককে ধরতে গিয়ে তপনবাবু গুরুতর আহত হন, কিন্তু নিজের দায়িত্ব পালন থেকে বিচ্যুত হননি। তাই তাঁর এই পুরস্কার প্রাপ্য বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এভাবেই রাতের কলকাতার বেআইনি কার্যকলাপ বন্ধ হবে। এই ধরণের নাকা চেকিং রাজ্য পুলিশ এলাকাতেও শুরু হবে। তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গের দেখানো পথ ধরেই ওড়িশা ও ঝাড়খন্ড সরকার পথ নিরাপত্তা নিয়ে সরকারি প্রকল্প শুরু করেছে।
অনুষ্ঠানে তিনি এই প্রকল্পের অন্তর্গত যে কাজ, তা দায়িত্ব নিয়ে পুলিশ করছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করেন। ২০১৬ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের রূপায়নের ফলে কলকাতায় ৩৫ শতাংশ দুর্ঘটনায় মৃত্যু কমেছে। এদিন কলকাতা পুলিশের উদ্যোগে ৩০০ মোটরবাইকে করে একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়।