কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে হেরিটেজ তকমা পেল বেহালার এক শিবমন্দির। এই মন্দিরটি আড়াইশো বছরের পুরনো। জানা যায়, এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিল বেহালা নিবাসী হালদার পরিবার। ১২ ডিসেম্বর ওই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবস।
হাইলাইটসঃ
১। বেহালার এক শিবমন্দির হেরিটেজ তকমা পেল
২। এই মন্দিরটি আড়াইশো বছরের পুরনো
৩। ১২ ডিসেম্বর ওই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবস
এই মন্দিরটি অবস্থিত বেহালা ১৪ নম্বর বাস স্ট্যান্ডের বিপরীতের আর্য সমিতির গলিতে। শুক্রবার কলকাতা পুরসভা চারচালা এই শিবমন্দিরে ঐতিহ্যের স্মারকফলক লাগিয়েছে। জানা যায়, দেবদারু ফটক ক্লাবের খেলার মাঠের কাছে ৩০০ বছর আগে এলাকার সম্পন্ন হালদার পরিবারের একটি পুকুর ছিল। সেই পুকুর থেকেই ওই শিবলিঙ্গটি পাওয়া যায়। এরপর শিবলিঙ্গটি পুকুরের পাশে ছোট মন্দির তৈরি করে পুজো অর্চনা শুরু হয়। কিন্তু কালক্রমে মন্দিরটি ভগ্নদশায় পরিণত হলে সেটি আবার নতুন করে তৈরি করে হালদার পরিবার। তবে ৬০-এর দশকে অলোক হালদারদের তত্ত্ববধানে এই নির্মাণকারী সংস্থা মন্দিরটিকে আবার নতুন করে তৈরি করে।
কিন্তু ১৯৭৩ সালে হালদার পরিবার মন্দিরের দায়িত্ব তুলে দেন স্থানীয় ক্লাব দেবদারু ফটকের হাতে। বর্তমানে সোহম চক্রবর্তীর ঠাকুরদা সুশীল চক্রবর্তীকে এই মন্দিরের সেবায়েত। কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, শহরের ঐতিহ্যের খোঁজে নেমে মন্দিরটির সন্ধান পান আধিকারিকেরা। এরপর পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধানের পর এই মন্দির ‘গ্রেড ওয়ান কলকাতা হেরিটেজ’ ঘোষণা করে কলকাতা পুরসভা।
প্রতি বছর প্রতিষ্ঠা দিবস, শিবরাত্রি এবং নীল ষষ্ঠীর অনুষ্ঠান হয় এই মন্দিরে। স্থানীয়দের মতে, এই পুরস্কার বিরাট সম্মান এবং গর্বের।