আমাদের কলকাতা পুরসভাকে কর বান্ধব পুরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে চান নতুন মেয়র-এমনটাই জানালেন শনিবার ২৯ডিসেম্বর। তার জন্য নানা রকম ভাবে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। দেশের যে সব মেট্রো শহরে ইউনিট এরিয়া এসেসমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে কর নেওয়া হচ্ছে, তাদের ব্যবস্থাপনা সরেজমিনে দেখে আসার জন্য কলকাতা পুরসভার কর সংগ্রহ বিভাগের কয়েকজন পদস্থ আধিকারিককে সেই সব শহরে পাঠানো হয়েছিল। তাদের আনা রিপোর্ট এখন পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। কলকাতাকে কিছুদিনের মধ্যেই কর-বান্ধব পুরসভায় রূপ দেওয়া হবে। এখানকার প্রতিটি মানুষ যাতে আগ্রহের সঙ্গে কর জমা দেন, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট ফর্ম বাংলাতেও প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতভাবে অপ্রয়োজনীয় বেশ কিছু কলাম বাদ দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এমনকি, বাড়ি, ফ্ল্যাট, ভাড়া দেওয়া বাড়ি প্রভৃতি আলাদা আলাদা ক্যাটেগরির জন্য আলাদা আলাদা ফর্ম তৈরির কথাও ভাবা হচ্ছে।
প্রায় দু'বছর আগে কলকাতা পুর এলাকায় চালু করা হয়েছে ইউনিট এরিয়া পদ্ধতিতে কর সংগ্রহ। এর জন্য নাগরিকদের একটি ফর্ম সংগ্রহ করে তা পূরণ করে দিতে হবে। সেই ফর্মে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে করের পরিমাণ নির্দিষ্ট হবে। কিন্তু প্রায় দু'বছর পর দেখা যাচ্ছে এই ব্যবস্থায় তেমন আগ্রহ জন্মায়নি সাধারণ মানুষের। এতদিনে মাত্র লাখখানেক করদাতা এই ফর্ম পূরণ করে জমা দিয়েছেন। তাই এই ব্যবস্থায় যেটুকু জটিলতা রয়ে গিয়েছে, সেগুলিকেও সরল করে দিতে বদ্ধপরিকর মেয়র। নাগরিকরা পুরসভায় সম্পত্তি কর জমা করতে গিয়ে যাতে কোনোরকম সমস্যার মধ্যে না পড়েন, খুব সহজেই নিজ নিজ জায়গার অফিসে এসে বা অনলাইনের মাধ্যমে কর মিটিয়ে দেওয়া যায়, তার জন্য সব রকম সুবিধার ব্যবস্থা ভাবা হচ্ছে। তাই আগামীদিনে আমরা যথেষ্ট সরলীকরণ পদ্ধতিতে কর জমা দিতে পারব, এই আশা করাই যায়।