কলকাতার বেসরকারি বাসগুলির গতিবিধির উপর নজর রাখতে এক প্রযুক্তিনির্ভর নতুন ব্যবস্থা চালু করল কলকাতা পরিবহন দফতর (Kolkata Bus)। এর ফলে বেসরকারি বাসগুলিকে এক সিস্টেমের আওতায় আনা যাবে বলে মনে করছে বাস কর্তৃপক্ষ।
হাইলাইটসঃ
১। বেসরকারি বাসগুলির জন্য এক প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থা চালু করা হল
২। এর ফলে বাসের গতিবিধির উপর নজরদারি করা হবে
৩। এই ব্যবস্থার নাম ‘দাওয়াই’
বেসরকারি বাস বহু মানুষের রোজকার যাতায়াতের এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। কিন্তু প্রায়শই এই বাসগুলির মধ্যে রেষারেষির খবর সামনে আসে। এই কারণে সাধারণ মানুষ প্রভূত সমস্যার সম্মুখীন হয়। এমনকি প্রাণহানিও হয় বহু মানুষের। এই সমস্যা সমাধানেই তৎপর হয়েছে পরিবহণ দপ্তর।
জানা গেছে, এই ব্যবস্থা হবে সম্পূর্ণভাবে প্রযুক্তিনির্ভর। এটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘দাওয়াই’। এর মাধ্যমে বেসরকারি বাসগুলিকে ট্রাক করবে পরিবহণ দপ্তর। প্রত্যেকটি বাসের মধ্যে একটি কিউ আর কোড থাকবে, যেটি বাস চালকরা স্ট্যান্ড থেকে বেরোনোর সময় তাদের মোবাইল দিয়ে স্ক্যান করবেন। এর ফলে বাসের গতিবিধির সম্পর্কে সমস্ত তথ্য পরিবহন দফতর এবং পুলিশের কাছে চলে যাবে। ফলে যদি কোনও বাস রেষারেষি বা অতিরিক্ত গতিতে যাতায়াত করে, তবে পুলিশ সহজেই তা শনাক্ত করতে পারবে। এরপর নিকটবর্তী ট্রাফিক আউট পোস্টে খবর পাঠানোর মাধ্যমে সহজেই বাসটিকে আটক করা সম্ভব হবে।
পরিবহন দফতরের সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পে কলকাতার ১২টি বাস রুটকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত রুটের বাসগুলির গতিবিধি ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে নজরদারি করবে পরিবহণ দপ্তর।
এছাড়াও এই প্রযুক্তি ব্যবস্থার সুবিধা পাবেন যাত্রীরাও। কারণ বাসগুলির গতিবিধি সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য থাকার কারণে যাত্রীরা ‘যাত্রীসাথী’ অ্যাপের মাধ্যমে বাসটি কবে এবং কোথায় পৌঁছাবে সে সম্পর্কে জানতে পারবেন তারা। এর ফলে যাত্রীরা অনেক বেশি নিরাপদে যাত্রা করতে পারবেন।
কিন্তু এই প্রযুক্তি ব্যবস্থায় কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। বাস মালিকদের মতে, বর্তমানে বিভিন্ন রুটে বাসযাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে আয় ৯০ শতাংশ কমে গেছে। সেই কারণে এই ভিএলটিডি (ভেহিক্যাল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস) মেশিন ও চালকদের মোবাইল দেওয়া অনেক খরচসাপেক্ষ। তাই এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবস্থা চালু করা সমস্যাজনক। সে কারণে বাসচালকরা পরিবহন দফতরের কাছে এই অতিরিক্ত খরচের জন্য কিছু অর্থ সাহায্যের দাবি তুলেছেন।