কর্ণাটকের এই মন্দিরে রাম-সীতার মূর্তি খোদাই করেছিলেন স্বয়ং বানররাজ সুগ্রীব

কোদান্দারাম মন্দিরে পূজিত হন ভগবান বিষ্ণুর অবতার রাম। 'কোদন্দরমা' মানে ভগবান রামের ধনুক। এটি কর্ণাটকের সবচেয়ে প্রাচীন মন্দিরগুলির মধ্যে একটি। প্রায় হাজার বছরেরও বেশি পুরনো এই মন্দিরের অনেক পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে। স্থানীয়দের মতে, মন্দিরটি ঠিক সেই জায়গায় অবস্থিত যেখানে ভগবান রাম বালীকে হত্যা করেছিলেন। এই হত্যার পরেই ভগবান রাম সুগ্রীবকে কিষ্কিন্ধ্যার রাজা হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। এখানকার স্থানীয় বিশ্বাস করেন যে মন্দিরের মধ্যে থাকা তিনটি মূর্তিই সুগ্রীব নিজেই খোদাই করেছিলেন।  হিন্দু পুরাণ অনুসারে, শ্রী রাম তার ডানদিকে দেবী সীতা এবং তার বাম দিকে শ্রী লক্ষ্মণকে কেন্দ্র করে দাঁড়িয়ে আছেন। কোদান্দরামা মন্দিরে রাম, সীতা ও লক্ষ্মণের মূর্তিগুলো এভাবেই রাখা হয়েছে। মা সীতার মূর্তির চোখগুলো খুব সুন্দর ভাবে খোদাই করা হয়েছে। মন্দিরের দেওয়ালে দেবী লক্ষ্মী, ভগবান হনুমান, গরুড় এবং ভগবান গণেশরের চিত্র আঁকা রয়েছে। মন্দিরের স্তম্ভগুলি বিভিন্ন ভাস্কর্য দ্বারা সজ্জিত। গর্ভগৃহটি একটি আয়তাকার আকৃতির। এই মন্দিরে হোয়সালা শৈলী এবং দ্রাবিড় স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন দেখা যায়।

ezgif.com-gif-maker (11)

ভক্তদের বিশ্বাস, মন্দিরটি আজ যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেটি একসময় নয়টি সিদ্ধের বাসস্থান ছিল। তারা একসময় সিদ্ধ পুষ্করনি নামক শহরের একটি জলাশয় সংলগ্ন এলাকায় তপস্যা করতেন। শহরটি ভগবান পরশুরামের আবাসিক স্থান হওয়ায় এর নামকরণ করা হয়েছিল ভার্গভাপুরী (ভার্গভা- পরশুরামের শহর)।

প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে প্রচুর ভক্তের ভিড় লক্ষ্য করা যায় এই মন্দির চত্বরে। কারণে এই সময় মকর সংক্রান্তির দিন রথ উৎসব পালন করা হয় এখানে। এছাড়াও গবাদি পশু নিয়ে একটি উৎসব পালন করা হয় আগস্ট মাসে। কর্নাটক রাজ্যের চিকমাগালুর জেলায় অবস্থিত এই মন্দিরের দূরত্ব বেঙ্গালুরু শহর থেকে অনেক কম। মাত্র ২৪২ কিলোমিটার। বাসে ছয় ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায় এখানে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...