৪০ রকমের আমগাছ। তাও আবার বাড়ির ছাদেই।
বাড়ির ছাদে ভিন্ন-ভিন্ন প্রজাতির ৪০ ধরনের আম চাষ করেছেন কোচির পুথানকরমবিল অঞ্চলের বাসিন্দা জোসেফ ফ্রান্সিস। পেশায় টেকনিসিয়ান জোসেফ শুরুর দিকে অবশ্য নেহাত আর পাঁচ জনের মতই শখের বশে বাড়ির ছাদে আম গাছ লাগিয়েছিলেন। একটা দুটো কলম চারা। তারপর থেকেই পেয়ে বসল ফুল- ফলের নেশা। চাকরি ছেড়ে দিলেন। ছাদেই গুরুত্ব দিয়ে শুরু করলেন আম বাগানের কাজ। বাড়ির ছাদের আম ফলনের এই সাফল্য নজর কেড়েছে কেরালার রাজ্য কৃষি দফতরেরও।
প্রায় ৪ ফুট লম্বা এক একটা আমগাছ। ২০০ লিটারের ব্যারেল কনটেনারে মাটি আর সার দিয়ে গাছ তৈরি করা হয়েছে। গাছের পরিচর্যায় খুব বেশি সময় ব্যয় করেন না জোসেফ। সারা দিনে ১০ মিনিট জল দিতে হয়। কলম চারা থেকেই কাজটা শুরু করেছিলেন জোসেফ। একটা ‘মাদার ট্রি’ থেকে দু-তিনটি কলম চারা তৈরি করেছেন। এক একটা আম গাছ থেকে আয় হয় প্রায় ৬০০ থেকে ৪০০০ টাকা। গাছের প্রজাতির ওপর দাম নির্ভর করে। জোসেফের ইউটিউব চ্যানেলও আছে। অনলাইনে কলম চারা তৈরি করতে শেখান ভিউয়ারসদের।
কলম চারা তৈরির ব্যাপারটি জোসেফ প্রায় শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন। তাঁর মাস্টারপিস ‘পার্শিয়া’। ২২ বছর আগে স্ত্রীর নামে তৈরি করেছিলেন। জোসেফের ছাদের সব চেয়ে সেরা স্বাদের আম এটি।
আম ছাড়াও অর্কিডের চাষ করেন। নিজের ছাদ বাগানে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে মাছ আর মৌমাছিও এনেছেন।
অর্কিডের জন্য চাই অ্যামোনিয়া মুক্ত জল। সে কারনে ফিস ব্রিডিং করেন। আর ফল-ফুল এর জন্য মৌমাছি। জোসেফ বলেন, প্রকৃতি প্রকৃতির নিয়মেই চলবে, জায়গা ছোট হোক কিংবা বড়।