আজকালকার জেট গতির যুগে আমরা এতই ব্যস্ত থাকি যে, সময়মতো খাওয়া-দাওয়া ঘুম কিছুই হয়ে ওঠেনা। নিজেদের শরীরের হিসেব নিকেশ করে আমাদের কাজের মাধ্যম। কারো যদি একান্ত প্রয়োজন হয়, তাহলেই শরীরচর্চা করা হয়ে ওঠে। কিন্তু সকলেই যে শরীর চর্চার জন্য সময় বের করতে পারেন, এমনটা নয়। হিসেবে করে ডায়েট মেনে খেতে চাই আমরা অনেকেই কিন্তু আগেই বললাম, যে কাজের গতির কারনে সব সময় তা হয়ে ওঠেনা। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ যদিও বা তা করতে পারেন, তবুও খাবারের ভেজালের কারনে সব সময় সঠিক ডায়েট পালন করা হয়না। ফলস্বরূপ প্রেশার, সুগারের সাথে সাথে হার্ট-এর ও দফা রফা হতে শুরু করে অতি অল্প বয়স থেকেই। রোগ শরীরে কখন বাসা বাঁধছে তা আমরা টেরও পাইনা। তাই নিজেদের অজ্ঞানতার কারনে শরীর খারাপের নিদান যখন আমরা পাই, তখন বড্ড দেরি হয়ে যায়। এই ব্যাপারে ইউরোপিয়ান সোসাইটি অফ কার্ডিওলজির এক রিপোর্ট বেশ নতুন একটি তথ্য দিয়েছে। আপনার শরীর কেমন রয়েছে, তা আপনি নিজেই নির্ধারণ করতে পারবেন। যদি এক মিনিটের মধ্যে 'ফোর ফ্লাইটস অফ স্টেয়ার্স' যা সোজা ভাষায় বললে বোঝায় দুটি তলার সিঁড়ি আপনি ভাঙতে পারেন, তা হলে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনার হার্ট ভালো আছে। হৃদয়ঘটিতকারনে আপনার এই মুহূর্তে মৃত্যু হবেনা।
এখন বক্তব্য হল, যারা এই সময়ের মধ্যে নির্ধারিত সিঁড়ি ভাঙতে পারলেন না, তাদের করণীয় কি হবে? অতি অবশ্যই তাঁদের শরীরের বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে। শরীরচর্চা করতে হবে। অতি অবশ্যই নিয়ম মেনে খাওয়া দাওয়া করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট হালকা ব্যায়াম এবং ৭৫ মিনিট অতিরিক্ত ঘাম ঝরাতে হবেই। তাহলেই সঠিক রক্ত সঞ্চালনের সঙ্গে সঙ্গে শরীর থাকবে চনমনে। স্ট্রেস কমানো এবং সর্বোপরি ভাবা হচ্ছে এভাবে ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমানো সম্ভব। তো এখন থেকেই লেগে পড়ুন নিজের শরীরের অবস্থা জানতে এবং সেই মত সিদ্ধান্ত নিয়ে শরীরের যত্ন নিন।