কলকাতায় থাকেন অথচ রবীন্দ্র সরোবরের নাম শোনেননি এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া বেশ দুস্কর। কলকাতার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ভ্রমণের জায়গা হওয়ার দরুন এই জায়াগায় বেশ ভিড়ই হয় ভোরবেলায় এবং বিকেলবেলায়। শরীরচর্চা করতে মানুষজন ছাড়াও এই জায়গাটিতে ভিড় করে সাধারণ মানুষ। বন্ধুদের সাথে চুটিয়ে আড্ডা দেওয়ার জন্যও মানুষজন বেছে নেন এই জায়গাটিকে। তাই এই জায়গাটিকে বেশ জনবহুল বলাই চলে। দিনের প্রতিটি বেলায় এখানে কিন্তু লোকজন থাকেই থাকে। আর যেখানে মানুষের ভিড় বেশি সেখানেই দূষণ বেশি। কথাটা স্বীকার করতে কষ্ট হলেও এটাই খাঁটি সত্যি কথা। আমরা মানুষরাই কিন্তু আজকের দিনে দাঁড়িয়ে প্রতি পদে পদে পরিবেশ দূষণ ঘটিয়েই চলেছি। কিছু ক্ষেত্রে আমরা নিজেরাই আবার সেই দূষণ কমানোর জন্য উঠেপড়ে লাগছি কিন্তু মনের ভুলে আবার আমরাই দূষণ সৃষ্টি করে ফেলছি।
কলকাতার বিভিন্ন জায়গা দূষণ মুক্ত করতে বারবার প্রশাসনকে সজাগ হতে দেখা গেছে। সেইরকমই এইবার রবীন্দ্র সরোবর লেককে দূষণমুক্ত করতে জরিমানা ঘোষণা করতে দেখা গেলো কেএমডিএ-কে। কেএমডিএ-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রবীন্দ্র সরোবরের মতো জাতীয় সরোবরকে দূষণমুক্ত রাখতে পরিবেশ আদালতের নির্দেশিকা মানতেই হবে। অনেকক্ষেত্রে নির্দেশিকা না মানার অভিযোগ এসেছে। তাই এই জরিমানার কথা ভাবা হচ্ছে। তারা জানিয়েছে, তবে কবে থেকে এই জরিমানা চালু হবে বা কত টাকা জরিমানা দিতে হবে তা কয়েকদিনের মধ্যে পর্যালোচনা করে জানানো হবে।
কেএমডিএ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরোবর অঞ্চলে যাতে কেউ প্লাস্টিক নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে সেই দিকে কড়া দৃষ্টি দেওয়া হবে। এলাকার মানুষদের বক্তব্য, এই সরোবরে প্রাতঃভ্রমণ বা সান্ধ্যকালীন ভ্রমণে আসা মানুষজন প্রায়ই সরোবরের মাছদের খাবার দিয়ে থাকেন। সেই নিয়ে তাদের বারণ করা হলেও অনেকেই কথা শোনেন না। বাইরে থেকে আনা খাবার খেয়ে এর আগে একবার মাছেদের মড়ক লেগেছিলো। তখনই বিষয়টি নজরে আসে। তারপরেই মাছেদের খাওয়ানোর উপরে নির্দেশিকা জারি করা হয়। সরোবর রক্ষনাবেক্ষনের জন্য হাইকোর্ট থেকে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে সেই কমিটির বক্তব্য, সরোবর পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে যেসব নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না। তাই এবার জরিমানার বিষয়টি সত্যিই বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন।