হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর জয় আর রাজস্থানের বিরুদ্ধে দিল্লির জয় প্লে অফসের রাস্তাটা সহজ করে দিয়েছিল কলকাতার জন্য। তবে যেই জিনিসটার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল তা হল মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে কলকাতার জয়। আইপিএলের অন্তিম ম্যাচে কলকাতা জয় পেলেই প্রথম চারে চলে যেত। কিন্তু আহত বাঘের মত কলকাতাকে আক্রমণ করে, সেই শেষ আশাটুকু ছিনিয়ে নিল ইন্ডিয়ান্সরা। লসিথ মালিঙ্গ, জসপ্রিত বুমরাহ ও হার্দিক পান্ডেয়ার বোলিং ও রোহিত শর্মা, কুইন্টন ডি কক ও সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটিং, মুম্বইয়ের দুই তরফের ধাক্কাকে সামলাতে পারে নি নাইটরা। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামলে ১৩৩ রানেই শেষ হয়ে যায় কলকাতার ইনিংস। ২৯ বলে ৪১ রান করে ব্যাট হাতে সফল শুধুমাত্র ক্রিস লিন। এমন কি কলকাতার এই আইপিএলের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান আন্দ্রে রাসেল ও শেষ ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরতে পারেন নি। আর নিতিশ রানার ১৩ বলে ২৬ রানের ঝোড়ো ইনিংসের ওপর ভর করে সম্মানযোগ্য লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হয় কলকাতা। দ্বিতীয় ইনিংসে সেই একই ছবি ধরা পড়ল। বাকি ম্যাচগুলির মত এই ম্যাচেও অসফল নাইটদের বোলিং বিভাগ। ফলাফল ম্যাচ হেরে প্লে-অফস থেকে বিদায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের। তবে কলকাতা একা নয় সাথে নিয়ে ডুবেছে দিল্লিকেও। নেট রানরেট পাওয়ার ফলে তিন নম্বর স্থান থেকে সোজা শীর্ষস্থানে চলে যায় মুম্বই আর দিল্লি নেমে আসে তিন নম্বরে। অর্থাৎ প্রথম দুই স্থানে থাকার ফলে যে সুবিধাটা পেত শ্রেয়াস আইয়াররা, তা থেকে বঞ্চিত হল তারা। তবে নাইটরা হেরে যাওয়ার ফলে প্লে অফসে হায়দ্রাবাদ পৌঁছনোয় উচ্ছসিত সানরাইজার্স ফ্যানরা। সোশাল মিডিয়া ভরে গেছে শুভেচ্ছা বার্তায়। পরবর্তী ‘এলিমিনেটর’ ম্যাচে হায়দ্রাবাদ মুখোমুখি হবে দিল্লি ক্যাপিটাল্স-এর।