টানা ৪ ম্যাচে খারাপ পারফরম্যন্সের পর পঞ্চম ম্যাচে ব্যাঙ্গালোর তাদের পুরোনো কোহলি ও ডি ভিলিয়ার্সেকে ফিরে পেয়েছিল ঠিকই। কিন্তু প্রতিপক্ষে থাকা রাসেল যে তাদের ফিরে পাওয়া সম্পদকে এইভাবে পদাঘাত করবে তা হয়ত ভাবতেও পারেনি ব্যাঙ্গালোরের সমর্থকরা। বোর্ডে তখন ২০৬ রানের পাহাড় সমান লক্ষ্য কলকাতার। স্কোর বোর্ডে জ্বলজ্বল করছে দুটি নাম বিরাট কোহলি ৪৯ বলে ৮৪ ও এবি ডিভিলিয়ার্স ৩২ বলে ৬২। সমর্থকদের মধ্যে তখন অন্য উন্মাদনা, অবশেষে হয়ত আইপিএলে খাতা খুলল কোহলিদের। কিন্তু না, ছন্দে থাকা কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে যে ২০৬ রানও কিছু না তা আরও একবার প্রমাণ করল দীনেশ কার্তিক। ২০৫ রান তাড়া করতে নেমে ক্রিস লিন আর পিঞ্চ হিটার সুনীল নারাইন প্রয়োজনীয় শুরুটা দিয়ে যান কলকাতাকে।
কলকাতার খেলা রুখে যায়, যখন নিতিশ রানা আর রবিন উথাপ্পা ক্রিজে ছিল। চড় চড় করে বাড়তে থাকে কলকাতার প্রতি ওভারে প্রয়োজনীয় রানরেট। একটা সময় আসে যখন কলকাতার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৪ বলে ৬৪ রান। ক্রিজে তখন বিরাজ করছেন আইপিএলের সেরা হিটার আন্দ্রে রাসেল। চিন্তার ভাঁজ অধিনায়ক বিরাট কোহলির কপালে, কি ভাবে পরাস্ত করা যায় এই ঝড়টিকে। কিন্তু ঝড়কে পরাস্ত করা অতটাও সোজা নয়। ৭ বলে ৭টি ছয় মেরে ৫ বল বাকি থাকতেই দলকে জয় এনে দেয় রাসেল। এই ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলে চতূর্থ স্থান থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসল নাইটরা। তবে হিসাবটা অন্যরকম ব্যাঙ্গালোর শিবিরে। প্লে অফস-এ পৌঁছতে চাইলে ব্যাঙ্গালোরকে ৯টি ম্যাচের ৮টিতেই জিততে হবে।