পর পর ৬টি ম্যাচ হেরে বর্তমানে প্লে অফসের রাস্তাটা অনেকটাই কঠিন হয়ে গেছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের। তবে যে টুকু আশা আছে তাতে কোনও খামতি রাখছে না দিনেশ কার্তিক। প্রথমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও তার পরে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে হারিয়ে আপাতত প্রথম চারে যাওয়ার লড়াইয়ে বাকি দলের থেকে এগিয়ে নাইটরা। বাধা শুধুমাত্র সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। একমাত্র দল যাদের রানরেটের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে কলকাতা। তবে শুক্রবারের জয় সেই চাপটাও অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে নাইটদের। টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় কার্তিক। আর তাতেই চমক। শুরুতেই কলকাতার ত্রাস কেএল রাহুল ও ক্রিস গেইলের উইকেট তুলে নেন সন্দীপ ওয়ারিয়র। এভাবে বাজি প্রায় মেরেই দিয়েছিল কলকাতা, কিন্তু বাধ সাধল স্য়াম কুরাণ (২৪ বলে ৫৫ রান) ও নিকোলাস পুরাণ (২৭ বলে ৪৮ রান)। একটা সময় ১৮ ওভারের শেষে পাঞ্জাবের স্কোর যেখানে ছিল ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৯, সেখানে এই দুই ব্যাটসম্যানের ঝোড়ো ইনিংসের ওপর ভর করে কিংসদের স্কোর পৌঁছোয় ২০ ওভারে ১৮৩। তবে তা দমাতে পারেনি দিনেশ কার্তিকের জয় পাওয়ার অদম্য জেদ-কে। পাঞ্জাবের হয়ে কুরাণ ও পুরাণের ইনিংসের যোগ্য জবাব দিয়েছে নাইটদের ব্যাটসম্যানরাও। শুভমান গিলের ৪৯ বলে ৬৫ ও ক্রিস লিনের ২২ বলে ৪৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস জয় কেড়ে নেয় পাঞ্জাবের পক্ষ থেকে। আর ফিনিশার হিসাবে কাজটি সম্পূর্ণ করে রাসেল ও কার্তিক। স্যাম কুরান, ব্যাট হাতে অনবদ্য প্রদর্শন করলেও বল হাতে তা বিন্দুমাত্র করে দেখাতে পারেননি তিনি। তার নির্ধারিত ৪ ওভারে দিয়েছেন ৪১ রান। ২ ওভার ও ৭ উইকেট হাতে থাকতেই ম্যাচ থেকে জয় তুলে নেয় নাইটরা। এই ম্যাচ জিতে কলকাতার সংগ্রহে ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। কলকাতার পরবর্তী ম্যাচ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে।