KIIT Controversy: ছাত্রছাত্রীদের প্রতি অসম্মানসূচক মন্তব্য অধ্যাপকের, সাসপেন্ড করল ইনস্টিটিউট

ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে অসম্মানসূচক মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (KIIT) –র দুই অধ্যাপক। বিতর্কের জেরে কর্মীদের সাসপেন্ড করেছে কেআইআইটি।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কেআইআইটিতে পাঠরত এক নেপালি ছাত্রী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। এর কারণ, এক সহপাঠীর সঙ্গে সম্পর্কজনিত সমস্যা। এর পর থেকেই সেই ছাত্রীর সপক্ষে প্রতিবাদে নামেন সেখানকার পাঠরত নেপালের ছাত্রছাত্রীরা। এমনকি, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-এর সদস্যরা তাদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু এরই মাঝে ক্যাম্পাসে প্রতিবাদকারী পড়ুয়াদের অসম্মানসূচক মন্তব্য করে বসেন ওই ইনস্টিটিউটের দুই অধ্যাপক। এই নিয়ে এক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ঝড় তুলেছে।

ভাইরাল সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, মঞ্জুষা পাণ্ডে নামে এক অধ্যাপক ছাত্রীদের উদ্দ্যেশ্য করে বলছেন, প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রায় ৪০ হাজার পড়ুয়াকে খাওয়ান এবং পড়ান। সুতরাং তাদের ইনস্টিটিউডকে এমনভাবে কালিমালিপ্ত করা উচিত হচ্ছে না। অন্যদিকে, জয়ন্তী নাথ নামে আরও এক কর্মী বলেন, ছাত্রছাত্রীদের পিছনে যে টাকা খরচ করা হয়, তা নেপালের জাতীয় বাজেটের সমান। এই দুই মন্তব্যের জেরে ক্যাম্পাসে অশান্তি আরও বেড়ে যায়।

উত্তপ্ত আবহাওয়ায় ওই দুজন কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে ইনস্টিটিউড কর্তৃপক্ষ। এমনকি ক্ষমা চেয়ে কেআইআইটি-র তরফে জানানো হয়েছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনায় কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত মর্মাহত। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের মধ্যে কেউ কেউ যেভাবে আচরণ করেছেন, তাতে তারা অনুতপ্ত। ব্যক্তিগত ক্ষমতা নিয়ে ঝোঁকের মাথায় যে মন্তব্য করা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ তাঁদের কাজকে সমর্থন করেন না।

এছাড়াও, এ বিষয়ে এক ভিডিওর মাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছেন অধ্যাপক মঞ্জুষা পাণ্ডে। তিনি জানিয়েছেন, “গত ১৬ তারিখ রাতে আমি ঝোঁকের মাথায় যে মন্তব্য করেছি, তার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইছি। এর সঙ্গে কেআইআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও যোগ নেই। আমার মন্তব্য যদি নেপালি পড়ুয়া এবং নেপালের বাসিন্দাদের অনুভূতিকে আঘাত করে, তাহলে আমি তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।”

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...