চারদিকে যখন থিমপুজোর ভিড়, প্রতিযোগিতার দৌড়ে যখন নাভিশ্বাস উঠেছে পুজো কমিটিদের। সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়েও কিছু ক্লাব বজায় রেখে চলেছে সাবেকিয়ানা।
জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ উপলক্ষে জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে উপস্থিত ছিল খিদিরপুর গোপাল ডাক্তার রোড যুবক সংঘের সদস্যবৃন্দ। সঞ্চালক শ্রেষ্ঠার সাথে পুজোর আড্ডা @ জিয়ো বাংলা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এই ক্লাবের সভাপতি শ্রী বিমান হাজরা, ক্লাবের সম্পাদক শ্রী হেমন্ত দাস এবং ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ শ্রী অভিজিৎ বর্ধন। জিয়ো বাংলায় এসে আড্ডার ছলে তারা জানালেন তাদের ক্লাব ও পুজো সম্পর্কে নানা কথা। জানা গেছে, এই ক্লাবের পুজো এই বছর পা দিলো ৮২ তম বর্ষে। দীর্ঘদিনের পথচলা হলেও বরাবর সাবেকিয়ানার উপরেই বিশ্বাস রেখেছে এই ক্লাব।
ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাস্তার উপরে পুজোটি হওয়ার কারণে থিম পুজো করার কথা ভাবেনি এই ক্লাব। তাছাড়া তারা সাবেকিয়ানাকে বহন করে নিয়ে যেতে পেরে যথেষ্ট খুশি, এমনটাই জানিয়েছে ক্লাবের সদস্যবৃন্দ। জানা গেছে, প্রতিবছর নবমীতে মায়ের জন্য বিশেষ ভোগের আয়োজন করা হলেও, এই বছর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নবমীর জায়গায় ভোগ নিবেদন হবে অষ্টমীর দিন। ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাড়ার প্রতিটি বাড়িতেই ভোগ বিতরণ করা হয় ক্লাবের পক্ষ থেকে। এই বছরের ভোগের মেনুও জানালেন ক্লাবের সদস্যরা। জানা গেলো, লুচি, ধোকার তরকারির মতো সাবেকি কিছু পদই উৎসর্গ করা হবে মাকে। সাবেকি পুজো তাই প্রতিমাতেও থাকছে সাবেকিয়ানা। শিল্পী শ্রী সনাতন রুদ্র পালের কাছ থেকে আসছে মাতৃমূর্তি। ক্লাবের পক্ষ থেকে জানা গেছে, খিদিপুরের বুকে প্রথম শিল্পী শ্রী রমেশচন্দ্র পালের হাতে তৈরী মূর্তি আনে যুবক সংঘই। টানা ১৬ বছর এই ধারা বজায় রেখে একই শিল্পীর কাছ থেকে মূর্তি আনে এই ক্লাব। জায়গার অভাবে বড় পুজো করতে না পারলেও বাঁশ কাপড়ের প্যান্ডেলটিকেও মনের মতো করে সাজাতে উদ্যোগী এই ক্লাবটি। সাবেকি পুজো হলেও আলোকসজ্জার জন্য চন্দননগরের লাইটিং-এর উপরেই ভরসা রাখছেন তারা।
ক্লাবের পক্ষ থেকে জানা গেছে, অষ্টমীতে অঞ্জলীর জন্য সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় এই ক্লাবটিতেই। তারা জানিয়েছে, দশমীর দিন নয় একাদশীর দিন সিঁদুরখেলার মধ্যে দিয়ে মায়ের বিদায়ের পালা সূচিত হয়। দমদম বা কবি সুভাষগামী যে কোনও মেট্রোয়ে উঠে নামতে হবে রবীন্দ্র সরবর মেট্রো। সেখান থেকে খিদিরপুর যাওয়ার যেকোনো বাসে বা অটোতে করে যেতে হবে বাবুবাজার নিকটে যুবক সংঘের সুসজ্জিত মণ্ডপটি।