খিদিরপুর পল্লী শারদীয়া | জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯

মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনেরই জন্যে” – ভুপেন হাজারিকার এই অমর গান মনে করিয়ে দেয় মনুষ্যত্বের পরিচয়। মানুষই যদি মানুষের পাশে না দাঁড়ায় তাহলে আর কিসের মনুষ্যত্ব! কিন্তু আজ যেখানে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ক্রমশ বাড়ছে তাতে প্রতিটি মানুষের মধ্যে তৈরি হচ্ছে একটি ‘ব্যারিকেড’। দুই দেশকে আলাদা করার জন্য যেরকম ব্যারিকেড করা হয়ে থাকে, আজ যেন মানুষও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে একে অপরের থেকে। আর এই ‘ব্যারিকেড’কে নিজেদের দূর্গাপুজোর থিম হিসেবে তুলে ধরতে চলেছে খিদিরপুর পল্লী শারদীয়া দূর্গাপুজো কমিটি।

জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯’-এর পুজোর আড্ডাজিয়ো বাংলার স্টুডিওতে হাজির ছিলেন খিদিরপুর পল্লী শারদীয়া কমিটির সদস্যরা। সঞ্চালক ইপ্সিতার সাথে নিজেদের পুজোর ব্যাপারে কথা বললেন কমিটির তিন সদস্য সুদীপ রায়, অভিষেক সাহাচিরঞ্জিত সাহা

এই বছর খিদিরপুর পল্লী শারদীয়া পুজো কমিটির ৭৮তম বর্ষ পড়তে চলেছে। আর এই বছর মানুষকে ‘ব্যারিকেড’-এর বার্তা দিতে চলেছে নিজেদের পুজোর মধ্য দিয়ে। শুরুর দিকে এই কমিটির পুজো একেবারে সাবেকিয়ানায় হলেও ২০০০ সাল থেকে থিম পুজোয় নেমেছে।

খিদিরপুর পল্লী শারদীয়ার দূর্গাপুজোর শুভ উদ্বোধন হতে চলেছে আগামী তৃতীয়ায়। সেইদিন কমিটির তরফ থেকে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের পরিকল্পনা চলছে। পাশাপাশি ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত ঠাকুরকে ভোগ প্রদান করে থাকে কমিটির সদস্যরা। আর এই কাজে একেবারে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে থাকে পাড়ার মহিলা থেকে শুরু করে প্রবীণ, এমনকি ছোটরাও। মহাঅষ্টমীর দিন পোলাওয়ের মাধ্যমে গোটা পাড়া যেন একত্রিত হয় পেটপুজোয়।

দ্বাদশীতে অন্যান্যবারের মত এবারেও মায়ের বিসর্জনের পালা হবে। সেইদিন বিশেষ আলোকসজ্জা সহ বিরাট শোভাযাত্রার মাধ্যমে মা দূর্গাকে বিদায় জানাবে খিদিরপুর পল্লী শারদীয়া।

তাই পুজোর প্ল্যানিংয়ে থাকাই চাই খিদিরপুর পল্লী শারদীয়া। দমদম বা কবি সুভাষগামী যে কোনও মেট্রোয়ে উঠে নামতে হবে রবীন্দ্র সদন, সেখান থেকে খিদিরপুর যাওয়ার কোনও বাস ধরে নামবেন খিদিরপুর ফ্যান্সি মার্কেটে। সেখান থেকে কিছুটা হাটলেই পৌঁছে যাবেন খিদিরপুর পল্লী শারদীয়া।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...