আগেকার দিনের বোনেদিবাড়ির বা জমিদার বাড়ির পুজোর আয়োজন ছিল অন্যরকম। পুজোর কটা দিন ঢাকের তালে গমগম করত গোটা বাড়ি, আর বাড়ির লাগোয়া নাটমন্দিরে চলত মাতৃ আরাধনা। নতুন কোনও অতিখি আসলে আতিথেওয়তা ছিল চোখে পড়ার মত। ঘরে প্রবেশ করার আগে, চৌকাঠে অতিথির পা ধুয়ে দেওয়া হতো তার পর আসন পেতে জলযোগের আয়োজন করা হতো। এতকিছুর মধ্যেও যা উল্লেখযোগ্য ছিল তা হল পুজোর “ষড়োশ উপাচার”। আর এই ষড়োশ উপাচারে যা যা সামগ্রী ব্যাবহার করা হতো তা দিয়েই তৈরী হচ্ছে খিদিরপুর নবরাগের পূজা মন্ডপ।
জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠান উপলক্ষে জিয়ো বাংলা স্টুডিওয়ে উপস্থিত ছিলেন পূজা কমিটির সম্পাদক শ্রী মৃণাল কান্তি ঘোষ, উপদেষ্টা শ্রী বরুণ মুখোপাধ্যায় ও থিম শিল্পী মিঠুন দত্ত। সঞ্চালক ইকেবানার সাথে গল্পে আড্ডায় জেনে নিলাম তাদের পুজোর বিষয়ে।
এইবছর সুবর্ণ জয়ন্তি অর্থাৎ ৫০তম বর্ষে পদার্পন করল তাদের পুজো। আর তাদের এইবছরের থিম “ষড়োশ উপাচার”। অনান্য পূজা কমিটি যখন উদ্বোধনের জন্য মহালয়া অবধি অপেক্ষা করে, সেখানে এই পুজোর উদ্বোধন মহালয়ার তিন দিন আগেই হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানান তারা। উদ্বোধনের পাশাপাশি থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। পুজোর চারদিন হেসেল সামলানোর কাজ থেকে বিরত রাখা হয় পাড়ার মহিলাদের। পুজো কমিটির তরফ থেকে এই চারদিন চাররকম পদের বন্দবস্ত করা হয়।
দমদম বা কবি সুভাষগামী যে কোনও মেট্রোয়ে উঠে নামতে হবে রবীন্দ্র সদন, সেখান থেকে খিদিরপুরগামী যে কোনও বাসে উঠে খিদিরপুর বাজার সংলগ্ন ওয়াটগঞ্জ থানার নিকট অবস্থিত এই পূজা মন্ডপ।