সম্মানিত হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সকলের জন্য খাদ্য প্রকল্প 'খাদ্যসাথী'। এছাড়াও সাধারণের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রকল্পের জন্য 'স্বাস্থ্যসাথী' এবং কারিগরি উন্নয়নের জন্য 'উৎকর্ষ বাংলা' প্রকল্প দুইটি জাতীয় স্তরে সম্মানিত হল। এই সম্মানে সম্মানিত করল বেসরকারি থিঙ্ক ট্যাংক সংস্থা স্কচ। জাতীয় স্তরের সম্মাননা প্রদানে সংস্থাটির যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের প্রায় আড়াইশো প্রকল্প -এর ভিতর সেরাদের ভিতর শ্রেষ্ঠ হবার প্রতিযোগিতায় এগিয়ে গেল পশ্চিম বঙ্গের 'খাদ্যসাথী' প্রকল্পটি। প্ল্যাটিনাম সম্মাননা অর্জন করে প্রকল্পটি।
প্রথমে অনলাইন ভোটার আধারে খাদ্যসাথী প্রকল্পটি গোল্ড সম্মান অর্জন করে। এরপর সারাদেশের গোল্ড সম্মান প্রাপ্ত প্রকল্পগুলির ভিতর আবারো অনলাইন ভোট হয়, আর তাতেই প্লাটিনাম সম্মানের শংসাপত্র পেয়ে যায় বাংলার 'খাদ্যসাথী'। রাজ্য খাদ্য দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব অচিন্ত্য কুমার পাতি এবং ডিস্ট্রিক্ট ডিস্ট্রিবিউশন প্রকিউরমেন্ট এন্ড সাপ্লাইয়ের ডিরেক্টর অজয় ভট্টচার্য্য রাজ্য সকারের পক্ষ থেকে গত সোমবার এই সম্মাননা গ্রহণ করেন।
পশ্চিমবঙ্গে ৬ কোটিরও বেশি বসবাসকারীদের সস্তায় গম, চাল দেওয়ার পাশাপাশি বাকি বাসিন্দাদেরও ভর্তুকিতে রেশনের দ্বারা খাদ্যশস্য দেওয়া হয়েছে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষার আওতায়। খাদ্যসাথীর অধীনে জঙ্গল মহল, সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক কৃষক , আইলায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার এবং চা বাগানের শ্রমিকদের সাথে ৪৮ লক্ষ ৭ হাজার উপভোক্তাকে বিশেষ প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে। বাংলায় যেন অনাহারে মানুষের প্রাণ না যায় , কৃষকদের বিক্রয়ে যেন ক্ষতি না হয় এই সব দিক মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার 'খাদ্যসাথী' প্রকল্পটি সাজিয়ে তুলেছে।