কেরলের সুস্বাদু খাবার আকৃষ্ট করে বহু পর্যটককে

নারকেল তেল, কারিপাতা, সর্ষে ফোড়ন এই তিন মিলে গেলেই দক্ষিণী খাদ্যের ফ্লেভার। দক্ষিণী খাবার নিয়ে এই ধারনাই ঘুরে বেড়ায় গোটা দেশ জুড়ে। কিন্তু দক্ষিণ মানেই শুধুমাত্র এই তিন নয়। বরং তার চেয়ে অনেকটা বেশি কিছু।
দক্ষিণের রাজ্য বললেই প্রথমেই নাম আসে কেরলের। দেশের ‘কুইন অফ স্পাইসেস’।  কালিকটের তীরে থেমেছিল ভাস্কোদাগামার জাহাজ। তাই কেরলের সব সময়েই স্বাদে গন্ধে আলাদা আকর্ষণ। নিরামিষ হোক বা আমিষ, দুই ক্ষেত্রেই। কেরলের রান্নাঘর পৃথিবী বিখ্যাত। এই রাজ্যে খাবার তৈরি করার সময় ব্যবহার করা হয় নারকেল তেল। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন মশলা, সবুজ লঙ্কা, কারি পাতা। কেরলের খাবারের সঙ্গে মিল রয়েছে সিরিয়ান খাবারের।

এই ধরনের বেশ কিছু খাবারের তালিকা তুলে ধরা হল।

১. এথাক্কা উপরি : কেরলের জনপ্রিয় খাবার গুলির মধ্যে একটি হচ্ছে এই এথাক্কা উপরি বা কলার চিপস্। রাজ্যের বাইরে থেকে আসা বহু মানুষ এই খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হন। তবে এছাড়াও নতুন বছর শুরু হওয়ার সময় কলা দিয়ে এই খাবার তৈরি করা হয়। এই চিপস্ ভাজা হয়ে নারকেল তেল দিয়ে।

২. মালাবার বিরিয়ানি : কেরলের জনপ্রিয় দুধরনের বিরিয়ানি একটির নাম 'কোজিকোডে' ও অপরটির নাম 'থালাসারি'। সাধারণত এই দুই ধরনের বিরিয়ানি তৈরি করা হয় কেরলের মালাবার অঞ্চলে। এই ধরনের বিরিয়ানি তৈরি করা হয়ে জিরাকশালা ব্যবহার করে। এখানকার বিরিয়ানিতে মাংস, চিংড়ি মাছ, অন্যান্য মাছ দিয়ে তৈরি করা হয়।

৩. কারিমিন পলিচাটু : এই খাবারটি মাছ দিয়ে ‌তৈরী করা হয়। কলার পাতার মধ্যে মাছের সঙ্গে স্যালাট, কাড়ি পাতা, রসুন, আদা, টমেটো, সবুজ লঙ্কা মেশানোর পর কলা পাতাটা মুরে রান্না করতে হয়ে।

৪. মিন বা চিমিন মৈলি : এই খাবারটি তৈরি করা হয়ে চিংড়ি মাছ দিয়ে। এছাড়াও নারকেলের দুধ, কাড়ি পাতা, সর্ষের তেল ব্যবহার করা হয়। এই খাবারের সঙ্গে মিল রয়েছে পর্তুগিজ, থাইল্যান্ডের বহু খাবারের।

৫. কোজি পরিচ্যাটু : কেরলের মালাবার অঞ্চলের জনপ্রিয় খাবার গুলির মধ্যে নাম রয়েছে কোজি পরিচ্যাটুর। সাধারণত মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি করা হয় এই খাবারটি। এছাড়াও আদা, রসুন, লঙ্কার গুঁড়ো, কাড়ি পাতা ব্যবহার করা এই খাবার তৈরি করার জন্য।