বাংলার প্রতিমার বিদেশ যাত্রা তো আমরা শুনেছি বহুবার কিন্তু বাংলার প্রতিমা শিল্পীদের বহির্রাজ্যে যাওয়া বা বিদেশ যাত্রা খুব একটা না শুনলেও, এরকমই চিত্র এখন কাটোয়ার পালপাড়ায়, যাকে কাটোয়ার ‘কুমোরটুলি’-ই বলা হয়| পুজো শুরু হতে এখনও খানিক দেরী,অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে পুজো শুরু কিন্তু এর মধ্যেই কাটোয়ার পালপাড়ায় অধিকাংশ প্রতিমাতেই দোমাটি হয়ে গেছে| প্রতিমা গড়ার কাজ প্রায় শেষের দিকে|
সূত্রের খবর থেকে জানা যাচ্ছে যে এই অঞ্চলে রয়েছে ঠাকুর গড়ার বিশাল কারখানা| এছাড়াও বড় বিষয় যেটি তা হল এই অঞ্চলে বহু পরিবারেই প্রায় মূর্তি গড়ার কাজ চলে এবং পুজোর আগে সিংহভাগ শিল্পীই চলে যান ভিনরাজ্যে বা বিদেশে মূর্তি গড়ার কাজে| সেক্ষেত্রে আয়ের পরিমান বেশী ঠিকই, কিন্তু তাতেও আছে কিছু সমস্যা। বাইরে থেকে বরাত পাওয়া ঠাকুর তৈরী ও অন্যান্য ঠাকুর তৈরির প্রচুর পরিমানে বরাত পাওয়ায় দ্রুত কাজ শেষ করার একটা বিষয় থেকেই যায় তাছাড়া মৃৎশিল্পীরা সকলে বাইরে চলে গেলে শিল্পীর অভাব ঘটলে তখন কারিগরের পারিশ্রমিক স্বাভাবিক ভাবেই বৃদ্ধি পায় ও ঠাকুর তৈরির মানও সঠিক থাকেনা| তাই এইপ্রকার সমস্যাকে দুরে রাখতেই পর্যাপ্ত সময় থাকতে দ্রুত কাজ শেষ করার ব্যস্ততা তুঙ্গে কাটোয়ার পালপাড়ায়|