জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠান উপলক্ষে জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে উপস্থিত ছিল কাটজুনগর সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সদস্যবৃন্দ। সঞ্চালক দীপালির সাথে পুজোর আড্ডা @জিয়ো বাংলা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের মিডিয়া সম্পাদক শ্রীমতি অনন্যা দাস, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শ্রীমতি মুক্তা রায় এবং ক্লাবের সাধারণ সদস্য শ্রীমতি নীলা মজুমদার।
আড্ডার ছলে তারা ভাগ করে নিলেন তাদের ক্লাব সম্পর্কে নানা কথা। তারা জানালেন, এইবছর ৭০ তম বর্ষে পদার্পন করলো তাদের পুজো। দীর্ঘদিনের পথচলা হলেও গত চারবছর ধরে থিম পুজোর আয়োজন করছে এই ক্লাব। ৭০ তম বছরে এই ক্লাবের থিম 'পুরানো সেই দিনের কথা'। থিমের বিষয়ভাবনা থেকে জানা যায়, আগেকার দিনের জমিদারবাড়ি, তাদের মন্দির ও নাটমন্দিরের আদলে তৈরী হতে চলেছে পুজো মণ্ডপ। প্রতিমাতে থিমের সাথে থাকছে সাবেকিয়ানার ছোঁয়া।
জানা গেছে, চতুর্থী থেকেই পুজোর প্রতিদিনেই থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। পঞ্চমীর সকালে মহালয়ার আদলে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেন পাড়ার মহিলারা। দশমীর দিন আকাশে বাতাসে বিষাদের সুর বাজলেও ঐদিনেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মুখরিত থাকে ক্লাব প্রাঙ্গন। দশমীর দিন প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা থাকলেও বিজয়া সম্মিলনী হয় লক্ষ্মীপুজোর পরেই। অষ্টমীতে মায়ের জন্য বিশেষ যে ভোগের আয়োজন করা হয় তা গ্রহণ করতে আসেন প্রায় দুই হাজার মানুষ।
জানা গেছে, পাড়ার ছোট সদস্যরাই ভিড় সামলানোর দায়িত্বে থাকে। তারাই অতিরিক্ত উৎসাহের সাথে ভলেন্টিয়ার ব্যাচ লাগিয়ে ভিড় সামলানোর কাজে হাত লাগায়। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মণ্ডপে রাখা থাকছে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র।
এই ক্লাব প্রাঙ্গনটিতে পৌঁছাতে গেলে আপনাদের দমদম বা কবি সুভাষগামী যে কোনো মেট্রোয়ে উঠে নামতে হবে রবীন্দ্র সরবর, সেখান থেকে থেকে বাসে করে সাউথ সিটির মলের পাশ দিয়ে কিছুক্ষন হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন এই ক্লাবটিতে।