প্রাচীন সভ্যতায় মানুষ ছিল বনবাসী। তখন কোথায় বিজ্ঞান, কোথায় খাবার। মানুষ অন্যান্য পশুদের মতই শিকার করে নিজেদের ক্ষুন্নিবৃত্তি করত। কিন্তু ভগবানের পুজো কিন্তু এই আদিম মানবরাই শুরু করেছিল। আর আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা সেই আদিম পুজোর প্রচলন আজও বজায় রেখেছে। আর বাংলা তথা ভারতবর্ষের সেই আদিবাসীদের নিয়েই থিমের আয়োজন করতে চলেছে কাসুন্দিয়া নবীন দল।
‘জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯’-এর পুজোর আড্ডায় জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে হাজির হয়েছিল কাসুন্দিয়া নবীন দল ক্লাবের সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সম্পাদক ও পুজোর থিম আর্টিস্ট পার্থ অধিকারী, কার্যনির্বাহী সদস্য তাপস দোলুই এবং কোষাধ্যক্ষ অমিত বটব্যাল। সঞ্চালক ইপ্সীতার সাথে তারা শেয়ার করলেন নিজেদের পুজোর যাবতীয় তথ্যাদি।
নিজেদের ২১তম বর্ষের থিম হিসেবে এবার আদিবাসী সম্প্রদায়কে তুলে ধরবে দর্শনার্থীদের কাছে। একদিকে যেরকম মানুষ উপভোগ করবে তাদের থিম, অন্যদিকে পুজোর চার দিন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিনোদনের কমতি রাখতে চাইছে না কাসুন্দিয়া নবীন দল।
এবার আসা যাক ভোগের কথায়, যা ছাড়া পুজো একপ্রকার অসম্পূর্ণ। পুজোর ৪ দিনই এই ক্লাব ভোগ বিতরণ করেই থাকে। পাড়ার পুরোনো পন্ডিতমশাইয়ের নির্দেশ মতই তাদের ভোগ হয়। ফলে শুকনো ভোগে যেমন থাকে লুচি, তেমনই অন্নভোগে থাকে খিচুরির বন্দোবস্ত।
তাহলে একবার অন্তত আসতেই হচ্ছে কাসুন্দিয়া নবীন দল ক্লাবের পুজো দেখতে। দমদম কিংবা কবি সুভাষগামী কোনও মেট্রোয় উঠে নামুন রবীন্দ্র সদন স্টেশনে। সেখান থেকে মন্দিরতলা বাস স্টপের নিকট এই পূজা মন্ডপ।