বিয়ের পর একান্তে ছুটি কাটাতে কাশ্মীরে পাড়ি দিয়েছিলেন কানপুরের ব্যবসায়ী শুভম দ্বিবেদী ও তাঁর স্ত্রী ঐশ্বন্যা। কিন্তু ভূস্বর্গ কাশ্মীরেই যে তাদের জন্য মৃত্যুদূত অপেক্ষা করছে, এমন কে জানত! কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের জঙ্গী হামলায় মৃত্যু হয়েছে শুভম দ্বিবেদীর। বিয়ের কিছুদিন পরেই এমন ঘটনায় শোকে পাথর স্ত্রী ঐশ্বন্যা।
চলতি বছরের শুরুর দিকে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিল শুভম ও ঐশ্বন্যা। ১২ ফেব্রুয়ারি বিয়ে হয়েছিল তাদের। বিয়ের পর ছুটি কাটানোর উদ্দ্যেশ্যে স্ত্রী, শ্যালিকা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে কাশ্মীরে বেড়াতে যান শুভম। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে পরিবারের বাকি সদস্যেরা যখন হোটেলের কাছে আড্ডা দিচ্ছিলেন, তখন নবদম্পতি ঘোড়ায় চড়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এরপরই পুলিশের পোশাক পরে পহেলগাঁওয়ে হানা দেয় জঙ্গীরা। কেউ কেউ আবার সেনার পোশাক পরেও এসেছিল। সকলের হাতে ছিল একে-৪৭। হঠাৎ করেই গুলির শব্দে ভরে যায় উপত্যকা। প্রাণভয়ে পালাতে থাকে পর্যটকরা। কিন্তু রেহাই মেলেনা। পর্যটকদের কাছে এসে একে একে নাম জিজ্ঞাসা করে তাঁদেরকে গুলি করে হত্যা করতে শুরু করে জঙ্গিরা। সেই হামলায় প্রাণ হারান শুভম।
হামলার পরের দিন বুধবারই শুভমদের কাশ্মীর ভ্রমণ শেষ করে দিল্লি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু আর ঘরে ফেরা হলনা শুভমের। জানা গেছে, খবর পাওয়ার পর কানপুর থেকে তাঁদের আত্মীয়েরা শুভমের মরদেহ শহরে ফিরিয়ে আনতে রওনা হয়েছেন।
নিহত পর্যটকদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারাও রয়েছেন। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বাংলার তিন বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে সমীর গুহ এবং বিতান অধিকারীর বাড়ি কলকাতায়। তৃতীয় জন মণীশরঞ্জন মিশ্র পুরুলিয়ার ঝালদার বাসিন্দা।