নদীয়ার গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছোল ভারতীয় সেনা জওয়ান ঝন্টু আলি শেখের নিথর দেহ। উধমপুরের বসন্তগড় এলাকায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন তিনি। শনিবার সকালে তেহট্টের পাথরঘাটার বাড়িতে তাঁর দেহ পৌঁছেছে। আজ সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর এলিট ৬ প্যারা স্পেশ্যাল ফোর্সের হাবিলদার ছিলেন ঝন্টু আলি শেখ। জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার পর পরই উধমপুরে ভারতীয় সেনা এবং জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এনকাউন্টারে দলে ছিলেন ঝন্টুও। কিন্তু সংঘর্ষের সময় জঙ্গিদের গুলি এসে লাগে তাঁর গায়ে। কিন্তু আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। ঝন্টুর স্ত্রী ঝুমা এবং তাঁদের দুই সন্তান তনভির এবং রেহানা থাকেন আগরার সেনা ক্যান্টনমেন্টে। স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে তাঁরা গ্রামের বাড়িতে ফিরে এসেছেন। ঝন্টুর দাদা নাজিম এবং বৌদি অনিন্দিতা শেখও ভারতীয় সেনায় রয়েছেন। অনিন্দিতা আবার কাশ্মীরে কর্মরত। বৌদি অনিন্দিতাই প্রথম ঝন্টুর মৃত্যুসংবাদ জানিয়েছিলেন বাড়িতে।
শুক্রবার জম্মুতে ঝন্টু আলি শেখ-কে শ্রদ্ধা জানিয়ে ভারতীয় সেনার তরফে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুট দেওয়া হয়। এরপর তাঁর মৃতদেহ কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। জানা গিয়েছে, তেহট্টের পাথরঘাটার স্থানীয় ইদগাহ ময়দানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, পর্যটকদের ধর্মপরিচয় জিজ্ঞাসা করে বেছে বেছে গুলি করা হয়েছে। ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে তাতে। তাঁদের মধ্যে ২৫ জন পর্যটক এবং এক জন স্থানীয় বাসিন্দা ছিলেন।