জন্মের পর দাদু রাজ কাপুর নাম দিয়েছিলেন ‘সিদ্ধিমা’। কিন্তু মা ববিতার পছন্দ হয়নি সেই নাম। খুব ভাল লাগত লিও টলস্টয়ের বিখ্যাত উপন্যাস ‘অ্যানা কারেনিনা’, নিজের সদ্যজাত কন্যার নাম রাখেন সেই নামেই, ‘করিনা’। আজকের করিনা কাপুর।
মুম্বইয়ের মিঠিবাই কলেজে কমার্সের ছাত্রী ছিলেন। ভেবেছিলেন অবশ্য ক্রিমিনাল ল’ইয়ার হবেন। হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোকম্পিউটার নিয়ে কোর্স করেছিলেন। তারপর সরাসরি ডেবিউ বলিউডে।
কাপুর খানদানের মেয়ে। বাবা রণবীর, মা ববিতা বলিউডের পরিচিত মুখ। অনেক পরিচালকের কাছেই নবাগতা হিসেবে তিনি ছিলেন ফার্স্ট চয়েস’। ‘কহোনা প্যার হ্যায়’(২০০০), ‘কাল হো না হো’ (২০০৩), কুইন (২০১৪) ছবির অফার প্রথম তাঁর কাছেই গিয়েছিল। রাজি হননি করিনা। এমন কী এই তালিকায় দীপা মেহেতার ‘ওয়াটার’ও আছে।
করিনাকে আপনি বলতেই পারেন অলরাউন্ডার। দুই সন্তান নিয়ে ঘরে-বাইরে ব্যস্ত জীবন। অভিনয়ের পাশাপাশি নিজের অন্য প্যাশনগুলোকেও গুরুত্ব দিয়ে চর্চা করেন।
২০০২ সালে একবার প্লেব্যাক করেছিলেন করিনা। ছবির নাম ‘দেব’। বইও লিখেছিলেন। ২০১২-তে প্রকাশিত হয় ‘দ্য স্টাইল ডায়েরি অফ বলিউড ডিভা’। দ্বিতীয় সন্তান জাহাঙ্গীর-এর জন্মের পর লেখেন ‘দ্য প্রেগন্যান্সি বাইবেল’। তিনি বলে থাকেন এই বই তাঁর তৃতীয় সন্তানের মতো। বই পড়ার অভ্যাস তিনি পেয়েছেন ‘বেটার হাফ’ সইফের থেকে। তাঁর অবশ্য অভিযোগ ছিল করিনার ধৈর্য্য কম। তাই শুরু করেন লেখার অভ্যাস।
ইন্সটাগ্রামে তাঁকে বলাই যায় ‘যোগা কুইন’। তবে খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে যে কোন ‘কম্প্রোমাইজ’র কড়া বিরুদ্ধে করিনা।
রান্না করতে ভালবাসেন। রান্নাঘরের ভিডিয়ো পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ডাল-চাউল, মাখন চপচপে আলু পরোটা- যে কোনও পঞ্জাবী খানা প্রিয়। তাঁর সাজেশন, যে কোনও পঞ্জাবি রান্নায় ওপর থেকে এক চামচ ঘি ছড়িয়ে দিলে খাবারের স্বাদ-গন্ধই বদলে যাবে পুরো।
তাঁর ‘ব্যাড হ্যাবিট’ কী, জিজ্ঞাসা করলে করিনার এক কথায় উত্তর ‘নখ খাওয়া’। শুটিঙ ফ্লোর হোক বা ডান্স ফ্লোর একটা অভ্যাস চেষ্টা করেও বদলাতে পারেননি। তাই তাঁর প্রিয় জনেরা মাঝে মাঝেই বলে- ‘ইটস ওকে বেবো…বড় হয়ে গেছ তুমি…’
আজ ৪২ বসন্তে পা দিলেন বলিউডের বেবো…শুভেচ্ছা জানিয়েছে গোটা বলিউড!