সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেয়েরা বেশি সংখ্যায় উচ্চমাধ্যমিক এ নথিভুক্তিকরণ করাচ্ছে কন্যাশ্রীর দৌলতে

রাজ্যের কন্যাশ্রী ইতিমধ্যেই বিশ্ববন্দিত হয়েছে| যদিও এই প্রকল্পটির সার্বিক ব্যবহার নিয়ে অনেক দ্বিমত আছে, তবু কিছু সদর্থক ফল তো অবশ্যই পাওয়া যাচ্ছে| অনগ্রসর শ্রেনীর মেয়েরা প্রাপ্তবয়স্ক হবার আগে বাড়ি থেকে সম্বন্ধ করা বিয়ে ভেঙে দিচ্ছে| তারা আরো এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা পাচ্ছে এই কন্যাশ্রী-র ওপর ভর করেই| একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে মাধ্যমিক থেকে উচ্চ্মাধ্যমিক শিক্ষায় এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ২০১৫-১৬-র তুলনায় ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে সংখ্যালঘু ছাত্রীদের বেশি নথিভুক্তিকরন হয়েছে| একাদশ-দ্বাদশে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ছিলেন ২,২০,৯৫৭ জন সংখ্যালঘু ছাত্রী| কিন্তু ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে সেই সংখ্যাটা ছিল ২,০৫,১৩৩| ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সার্বিক নথিভুক্তির হারও যথেষ্ট ভালো| কিন্তু প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে ছাত্রীদের নথিভুক্তি কোনো ক্ষেত্রে ১ লক্ষ থেকে ১০ হাজার পর্যন্ত কমেছে| সংখ্যালঘুদের জন্য ঢালাও স্কলারশিপের ব্যবস্থা করেছিল সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর| এই স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতা হিসেবে বলা হয়েছিল, ৫০ শতাংশের নিচে নম্বর পাওয়া ছাত্রছাত্রীরাই এটা পাবেন| এছাড়াও মেধার ভিত্তিতে সাধারন স্কলারশিপ তো আছেই|

     তবে অনেকেই মনে করছেন, ছাত্রদের পিছনের সারিতে ঠেলে মেয়েরা যেভাবে স্কুলশিক্ষায় এগিয়ে আসছে, সেটা খুবই ইতিবাচক| জাত-ধর্ম নির্বিশেষে সার্বিকভাবে এই ছবিটা বেশ কয়েক বছর ধরেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে| কিন্তু সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে এবার সেটা বেশ স্পষ্ট| সামাজিক গোঁড়ামীর ফাঁস আলগা হচ্ছে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল| এবং এভাবে চললে আগামী দিনেও মেয়েরা অনুপ্রাণিত হয়ে পড়াশোনার জন্য এগিয়ে আসবে| আসলে সমাজে মেয়েরা যত বেশি শিক্ষিত হবে, ততই দেশে শিক্ষিতের হার বাড়বে এটা বলাই বাহুল্য| তবে ছেলেদেরও সমানভাবে পড়াশোনায় এগোতে হবে এবং মাধ্যমিক স্তরেও মেয়েদের স্কুল ছেড়ে দিলে চলবেনা| যারা ভালোভাবে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করছে, এক্ষেত্রে তাদের এগিয়ে আসতে হবে এবং সেটা শিক্ষকদের দ্বারা পরামর্শ দিতে পারলে আরো ভালো|

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...