পাঁচ শতকের ইতিহাস, সঙ্গে মিলে মিশে মিথ। ঝাড়গ্রামের কনক দুর্গা মন্দিরের অন্দরে নানান গল্পকথা। মিশে রয়েছে সাড়ে চারশো বছর আগের সামন্ত রাজাদের ইতিহাস। স্থানীয়দের বিশ্বাস, চারদিকে গভীর জঙ্গলের মধ্যে সামন্ত রাজাদের এই মন্দিরে আজও দেবী বিরাজ করেন। পুজো উপলক্ষে দর্শকদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে থাকে মন্দির চত্বর। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রাম, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা ঝাড়গ্রাম থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে ডুলুং নদী।
ভগ্নপ্রায় চিলকিগড়ের রাজবাড়ি ও কনকদুর্গা মন্দিরের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে ডুলুং নদী, এই নদীর তীরে গভীর জঙ্গলের মধ্যে রয়েছে কনক দুর্গা মন্দির। এখানে দেবী অবস্থান করছেন, দেবী অশ্বারোহিনী চতুর্ভূজা। অষ্টধাতুর এই মূর্তি ঘিরেই জমে ওঠে দুর্গাপুজো। শহুরে কোলাহল থেকে বহু দূরে কনক দুর্গার অবস্থান। প্রাচীন রীতিতে ব্যতিক্রমী আড়ম্বরহীন, চমকবিহীন পুজো।
প্রচলিত ইতিহাস বলে, চিল্কিগড়ের সামন্ত রাজা গোপীনাথ সিংহ তৈরি করেন এই মন্দির। স্বপ্নাদেশ পেয়ে স্ত্রীর হাতের কাঁকন দিয়ে মূর্তি তৈরি করান তিনি। ২০০৭-২০০৮-সালে দুবার মায়ের মূর্তি চুরি গিয়েছিল। পরে ফের নতুন করে অষ্টধাতুর মূর্তি তৈরি করা হয়। স্থানীয়রা বলেন, আগে নাকি এখানে নরবলি হত। দেবীর নির্দেশে তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে বলি আজও হয়। পাঁঠাবলি। অষ্টমীর রাতে। মন্দিরের পাশে গভীর জঙ্গলের মধ্যে। নিশা পুজোয় অংশ নেন শুধুমাত্র জপরিবারের সদস্যরাই। স্থানীয়দের বিশ্বাস, নবমীর ভোগ রান্না করেন স্বয়ং দুর্গা।
চিল্কিগড়ের কনক দুর্গা মন্দির, ঝাড়গ্রাম তথা বঙ্গ পর্যটন মানচিত্রে অন্যতম একটি নাম। এই মন্দিরের ইতিহাস ৫০০ বছরের পুরোনো। স্থানীয়দের কাছে খুবই জাগ্রত মন্দির। সারাবছরই এখানে বহু মানুষ আসেন পুজো দিতে। তবে দুর্গাপুজোর কয়েকটা দিন এখানে ভিড় করেন আশেপাশের জেলা এমনকি কলকাতার দর্শনার্থীরাও। এই মন্দিরের প্রাচীনত্ব আজ খুঁজতে গেলে মনে কষ্টই লাগবে। তবে পাশেই নতুন মন্দির তৈরি হয়েছে, সেখানেই এখন দেবীর অধীষ্ঠান। তবে বাংলার প্রাচীন এই মন্দির ঘিরে আজও রয়েছে বহু কিংবদন্তী ও ঐতিহাসিক গল্প। জনশ্রুতি রয়েছে যে, এই মন্দিরে আজও অষ্টমীর রাতে দেবী নিজেই নিজের ভোগ রান্না করেন।
এককালে নরবলি হলেও, এখন পুজোয় বলির রেওয়াজ মেনে মোষ বা পাঁঠা বলি হয়। পুজোর চারদিন কনকদুর্গাকে হাঁসের ডিম, মাছ পোড়া, শাক ভাজা, পান্তা ভাত দিয়ে ভোগ দেওয়া হয়। অষ্টমির রাতে মন্দিরে পাতকুয়োর সামনে রেখে একটি পাঠা বলি নিবেদন করা হয় আজও। নিশি রাতে সেই বলি হয়৷ নবমীর অন্নভোগের আগে সেই বলির মাংস নতুন মাটির হাড়িতে সেদ্ধ করে রাজবাড়ির বিরাম কক্ষে রাখা হয়। নবমী তিথির যজ্ঞের পরে সেই হাড়িতে রাখা বলির মাংস রান্না করে মায়ের ভোগ দেওয়া হয়। মন্দিরের পুরোহিতের কথায়, একেই বিরাম ভোগ বলা হয়।
অষ্টমী বিহীত পুজোর পরই নিশি রাতে বলির আয়োজন হয় জঙ্গলের গভীরে। সেখানে তিথি-নক্ষত্র মেনে বলি হওয়ার পর সেটি নিয়ে আসা হয় রাজবাড়ির বিশেষ কক্ষে। এই বিরাম পুজোতে বাইরের কোনও মানুষ থাকে না। শুধুমাত্র পুরোহিত এবং কয়েকজন চর্চক উপস্থিত থাকেন যারা বলিতে অংশ নেন বংশ পরম্পরায়। দশমীর ভোগে কনকদূর্গাকে দেওয়া হয় পান্তা ভাতের সাথে শাক ভাজা। চিল্কিগড়ের কনকদূর্গা পুজোয় বেশ কয়েকরকমের ভোগ নিবেদন করা হয়। অষ্টমী তিথিতে হাসের ডিমের পদ ভোগ হিসেবে দেওয়া হয়। তাকে বলে গঞ্জভোগ।
তবে এখানে সন্ধিপুজোর বিশেষ গুরুত্ব আছে। ওই দিনই মা কনকদুর্গাকে দেওয়া হয় বিরাম ভোগ। যা মায়ের বিশেষ রান্না। চিল্কিগড়ের রাজবাড়িতে আছে বিশেষ বিরাম কক্ষ। সেখানেই নতুন মাটির হাড়িতে জল ও অন্য়ান্য সামগ্রী দিয়ে শালপাতা দিয়ে ওই হাড়ির মুখ বেধে উনোনে চাপানো হয়। ওই উনোনে তিনটি কাঠে আগুন জ্বেলে ঘরের দরজা বন্ধ করে তালাচাবি বন্ধ করা হয়। এরপর গভীর জঙ্গলে হয় পাঁঠা বা মোষ বলি। পরে নির্দিষ্ট সময়ে সেই বলির মাংস পরিস্কার করে ওই হাড়িতেই রান্না করা হয়। পরে সন্ধিপুজোর যজ্ঞে সেই ভোগ নিবেদন করা হয় কনকদুর্গাকে। আজও চলে আসছে সেই রীতি। স্থানীয়দের বিশ্বাস, দেবী স্বয়ং এই ভোগ রান্না করেন।
ইতিহাস বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রায় ৫০০ বছরেরও আগে চিল্কিগড়ে মত্তগজ রাজবংশের গোপীনাথ সিং এই পুজোর প্রতিষ্ঠা করেন। মত্তগজ বংশের পর চিল্কিগড়ের শাসনভার আসে ধবলদেও সিংহ বংশের হাতে। তাঁরও আগে ছিলেন ত্রিপাঠি বংশের রাজারা। এরা প্রত্যেকেই ছিলেন শক্তির উপাসক। চিল্কিগড় এলাকাও তখন ছিল ঘন জঙ্গলে পরিপূর্ণ। চিল্কিগড়ের প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাচীন মন্দিরটির পশ্চিমপ্রান্তে এক পরিত্যাক্ত দালানে একসময় নরবলি হত। সেই বলি হত অষ্টমী তিথিতে। সেই নররক্তেই কনকদূর্গার পুজো হত। ব্রিটিশ গবেষক হান্টারের লেখা স্ট্যাটিস্টিক্যাল অ্যাকাউন্ট অফ বেঙ্গল বইতে বাংলার কয়েকটি মন্দিরে নরবলির কথা উল্লেখ রয়েছে। তাতে চিল্কিগড়ের কনকদূর্গা মন্দিরের কথাও রয়েছে।
মন্দির লাগোয়া এলাকায় বিশাল ভেষজের জঙ্গল মন্দিরের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রেও জায়গা করে নেয় কনকদুর্গা মন্দির। মন্দির লাগোয়া বিশাল ভেষজের জঙ্গল। পরিচর্যার অভাবে দামী দামী ওষুধের গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। বর্তমানে গাছের রক্ষণাবেক্ষণে রাখা হয়েছে রক্ষী। তৈরি হয়েছে চেকপোস্ট।
সেক্রেড গ্ৰুভস খাঁটি বাংলায় পবিত্র অরণ্য। নিশ্চয়ই অচেনা লাগছে ? ঠিক তাই। কিন্তু এ জিনিস নতুন হলেও, ভারত-বাংলা, গোটা পৃথিবীতেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সেক্রেড গ্রুভস। ন্যাশনাল পার্ক, অভয়ারণ্য, বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ-এর মতো এখনও পরিচিত হয়ে ওঠেনি সেক্রেড গ্ৰুভস। জীব বৈচিত্র সংরক্ষণের প্রাচীনতম পদ্ধতি হল এই পবিত্র অরণ্য। যা বিজ্ঞানভিত্তিক ভাবে এখন স্বীকৃত। এই সব জায়গায় গাছের কাঠ কাটা নিষিদ্ধ। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে এই জায়গাগুলি হল সেখানকার এক-একটি ফুসফুস।
কী এই পবিত্র অরণ্য ?
প্রাচীন মানুষ উপলব্ধি করেছিলো, নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পরিবেশকে বাঁচাতে হবে। মানুষের হস্তক্ষেপ থেকে পরিবেশ কে রক্ষা করতেই পারলেই রক্ষা পাবে অরণ্য এবং গাছপালা। সেই কারণেই সাধারণ মানুষ লৌকিক উপকথা, লোককথা, সংস্কার, জনশ্রুতি এবং মিথ মিশিয়ে বন জঙ্গল অরণ্যকে বাঁচাতে চেয়েছিলো, যাতে ওই জনশ্রুতি থেকেই মানুষ ওই অরণ্য স্পর্শ না করে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা এই জিনিসের নামই দিয়েছেন সেক্রেড অর্থাৎ পবিত্র এবং গ্রুভস অর্থাৎ ছোটো অরণ্য ; এই দুয়ে মিলে সেক্রেড গ্ৰুভস!
এই অরণ্য গুলিতে ধর্মের কোনো ভেদাভেদ থাকে না, সাধারণ মানুষের যে কেউ আসা যাওয়া করতে পারেন। সামাজিক ভাবে এরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, আম, জাম, বট, অশ্বথ, বাঁশ বিভিন্ন লতা গুল্ম ঝোঁপ জাতীয় গাছ এই সব অরণ্য গুলিতে দেখা যায়। এই পবিত্র অরণ্য গুলিতে দুটি অংশ থাকে একটি অংশ অরণ্য, যেখানে হয়ত মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকে। অন্য অংশটি থাকে উন্মুক্ত সেখানে মন্দির থাকে। সেখানে মানুষজন যায়, উৎসবে পার্বনে মেলা বসে জন সমাগম হয়।
ব্রিটিশ ভারতে বন দপ্তরের প্রথম জেনারেল ডিরেক্টর ছিলেন জার্মান উদ্ভিদবিদ ডিয়েট্রিচ ব্র্যান্ডিস, ভারতের অরণ্য-বনাঞ্চলের মধ্যে তিনিই প্রথম এই ধরনের বিশেষ অরণ্য লক্ষ্য করেন। এই অরণ্য গুলোই প্রাকৃতিক ভাবে সংরক্ষিত হয়ে আছে গ্রামবাসীদের দ্বারা। যার কারণ হলো যুগ যুগ ধরে চলে আসা লোককথা, মিথ, বিভিন্ন সংস্কার ধর্মবিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে।
ব্র্যান্ডিসের নিজস্ব প্রচেষ্টায় ভারতের পরিবেশ আইনের সূত্রপাত হয়। ১৯০৬সালে প্রকাশিত তাঁর বিখ্যাত বই "ইন্ডিয়ান ট্রিজ" আজও উদ্ভিদবিদ, গাছ প্রেমী পাঠকদের কাছে সমাদৃত। এই বইটি প্রাচীন ভারতীয় গাছেদের জানার জন্যে অন্যতম একটি সম্পদ! কেরল, কর্নাটক, রাজস্থান জুড়ে অবস্থিত এই ধরনের একাধিক সেক্রেড গ্রুভগুলিকে চিহ্নিত করেন ব্র্যান্ডিস।
পরবর্তীতে ভারতের বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে অরণ্যবেষ্টিত এই ধরনের একাধিক জায়গা চিহ্নিত হতে শুরু হয়। ওই অনেকটা শিবরামের দেবতার জন্মের মতো,এর মূল উদ্দেশ্য ছিল, মানুষ যাতে নিজের প্রয়োজনে গাছপালা কেটে জায়গাটিকে নষ্ট করে না দেয়।
দেবোত্তর সম্পত্তি এই বিশ্বাসে রক্ষা পেত অরণ্য এবং অরণ্য প্রাণ। ডিয়েট্রিচ ব্র্যান্ডিস সর্বপ্রথম একক প্রচেষ্টায় ভারতের সেক্রেড গ্রুভস নিয়ে সমীক্ষা শুরু করেন। ভারতে মিজোরাম, অরুণাচল ও মধ্যপ্রদেশে ইত্যাদি রাজ্যে অরণ্যের পরিমাণ বেশি।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতের প্রায় এক হাজার বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে সামগ্রিক ভাবে এই পবিত্র অরণ্য বিস্তৃত রয়েছে, যেমন কেরলে কাভু, ওড়িশায় জাহেরা, তামিলনাড়ুতে কইকাডু, উত্তরাখণ্ডে দেবভূমি উল্লেখযোগ্য। বন দপ্তরের তথ্যঅনুযায়ী, ভারতের মধ্যে হিমাচল প্রদেশে সরকারি ভাবে নথিভুক্ত সেক্রেড গ্রুভসের সংখ্যা সর্বাধিক।
এবার আসি বাংলার কথায়, বাংলার বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে যে সব থান রয়েছে, সেগুলিও সেক্রেড গ্রুভসেরই প্রকৃষ্ট উদাহরণ, তাদের সঙ্গে সেক্রেড গ্রুভসের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কম-বেশি সাদৃশ্য। মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়ার পল্লী বাংলায় এই রকম অজস্র জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রধানত সাবিত্রীথান, হরিথান, শিবথান, কালিথান, বটেশ্বর, যুগীপুকুর ইত্যাদি নামেই বাংলার সেক্রেড গ্রুভস গুলি পরিচিত।
ঝাড়খণ্ড-বাংলা সীমান্ত অঞ্চল মেদিনীপুরের ডুলুং নদীর ধারে চিল্কিগড়ে একটি উল্লেখযোগ্য সেক্রেড গ্রুভ-এর উদাহরণ। কনক-দুর্গার মন্দিরকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে চিল্কিগড়ের অরণ্যসম্ভার। জীববৈচিত্র্যের জন্য সারা পৃথিবীর কাছে উল্লেখযোগ্য চিল্কিগড়, সম্প্রতি হেরিটেজ সাইটেরও তকমা পেয়েছে চিল্কিগড়। রাজ্য সরকার তরফেও একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। চিল্কিগড়ে রয়েছে'এনডেমিক স্পিসিস'-এর বিপুল সম্ভার। এমন সব উদ্ভিদ , প্রাণী রয়েছে এখানে, যা অন্য কোথাও পাওয়ার সম্ভাবনা বিরল,বা নেই বললেই চলে।
নেচার পত্রিকা গ্রুপের অন্যতম সহচর সায়েন্টিফিক আমেরিকান পত্রিকা দু -বছর আগে সেক্রেড গ্রুভসের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ও প্রয়োজনীয়তা এবং পরিবেশের সাপেক্ষে এর গুরুত্ব নিয়ে এক প্রবন্ধ প্রকাশ করে। এরপরই আধুনিক বিজ্ঞানীদের মহলের টনক নড়ে অরণ্য রক্ষার এই প্রাচীন পদ্ধতি সম্পর্কে। এক-একটি সেক্রেড গ্রুভ সেখানকার জীব বৈচিত্রের আধার, বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষক, প্রাকৃতিক ফুসফুস। তাই সেক্রেড গ্রুভসকে সংরক্ষণ করা এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রয়োজন।
কিন্তু লোকশ্রুতি ধর্মবিশ্বাস, মিথ, মন্দির, ঢিল-বাঁধা, মানত করা ইত্যাদি থাকায় এগুলোর প্রকৃত গুরুত্ব অনুধাবন না করে আমাদের একটু কপাল কুচকানোর মনভাব রয়েছে এবং এই এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতাই বিপদ ডেকে আনছে। ধর্মীয় সংস্কার থাকার জন্যে প্রাচীন কাল থেকে মানুষের মুখে মুখে প্রচারিত এই লোকসংস্কৃতিই অবহেলিত থেকে গিয়েছে। এর জন্যে খানিকটা বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানমনস্কতাই দায়ি। ধর্ম বিশ্বাসকে সরিয়ে আমরা যদি পরিবেশ বাঁচানোর উদ্দেশ্যকে বড়ো করে দেখি, তবেই পরিবেশের মঙ্গল।