কলকাতায় যদি বরফ পড়ত তাহলে কেমন হত? প্রশ্নটা শুনে অবাক হচ্ছেন নিশ্চই। তাহলে কেমন হয় যদি গোটা কেদারনাথই উড়ে এসে জুড়ে বসে মহানগরীর বুকে! এই বছরের দুর্গাপুজোয় ঠিক তাইই হতে চলেছে। কল্যাণ সংঘ সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির দুর্গাপুজোয় এবার একেবারে কেদারনাথ যাত্রাই সেরে ফেলতে পারবেন আপনি।
‘জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯’-এর পুজোর আড্ডায় জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে উপস্থিত হয়েছিল কল্যাণ সংঘ এই ক্লাবের তিন মহিলা সদস্যা। সঞ্চালক শ্রেষ্ঠার সাথে নিজেদের পুজো নিয়ে জমিয়ে আড্ডা দিলেন ক্লাবের তিন সদস্যা সঞ্চিতা নন্দী, মিলি দে এবং পূজা ঘোষ। স্টুডিওর আড্ডায় তিন সদস্যার একই রঙের শাড়ি পড়াকে কেন্দ্র করে বোঝাই যাচ্ছিল পুজো পুজো ভাব যেন তাদের মধ্যে শুরু হয়েই গেছে।
এই বছর কল্যাণ সংঘ সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজোর ৮০তম বর্ষ হতে চলেছে। আর এবছরই কেদারনাথের মন্দিরকে থিমের আদলে তৈরি করার চেষ্টায় রয়েছে কমিটির সদস্যরা।
তৃতীয়ার দিন তাদের পুজোর উদ্বোধন হতে চলেছে। আর উদ্বোধনের পর থেকে বিসর্জন পর্যন্ত এই কমিটির দ্বারা প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হবে। উদ্বোধনের দিন মাকে স্বাগত জানাতে একটি প্রভাতফেরির আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি মহাঅষ্টমীতে খিচুরি ভোগ খাওয়ানো হয় পাড়ার প্রতিটি মানুষকে। আর বিসর্জনের দিন পাড়ার পুরুষদের কাঁধে করে মা দূর্গাকে বিদায় জানানো হয়, পিছনে থাকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।
তাহলে কলকাতায় কেদারনাথের দর্শন করতে আসতেই হবে কল্যাণ সংঘ সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজোয়। দমদম কিংবা কবি সুভাষগামী কোনও মেট্রোয় উঠে নামতে হবে শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনে। সেখান থেকে কিছুটা হেটে পৌছে যাবেন দেশবন্ধু পার্ক। তারই নিকটে কল্যাণ সংঘ সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির দুর্গাপুজো।