দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের দূষণের মাত্রার বাড়বাড়ন্তে কপালে ভাঁজ পড়েছে পরিবেশবিদদের। বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে সেই দূষণের মাত্রা কমানোর। এই দূষণের বৃদ্ধির কারন হিসেবে প্রথমেই মনে করা হয়, প্লাস্টিকের অতিরিক্ত ব্যবহার। আমাদের চারপাশে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কারণে প্লাস্টিক ব্যবহার করা হচ্ছে যথেচ্ছভাবে। এর ফলেই বাড়ছে দূষণ বলে মনে করেন পরিবেশবিদরা। এই ভাবনা থেকেই কিছু কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে যাতে দূষণের মাত্রা কিছুটা হলেও কমানো যায়। তাছাড়া অর্থনৈতিক কারণও রয়েছে দেশে উৎপাদিত জুটের বস্তা ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়ার পেছনে। তেমনই একটি পদক্ষেপ হল এখন থেকে যে কোনও খাদ্যশস্য রাখার জন্য দেশে উৎপাদিত জুটের বস্তাই ব্যবহার করতে হবে।
খাদ্যশস্য রাখার জন্য দেশে উৎপাদিত জুটের বস্তাগুলিকেই সাধারণত ব্যবহার করার কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র চাল,গম প্রভৃতি খাদ্যশস্য রাখার জন্য ১০০% এবং চিনির জন্য ২০% জুটের বস্তা ব্যবহার করার কথা জানিয়েছেন।এই খাতে তারা প্রায় ৬৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করার কথা ভেবেছেন। দেশের পাট শিল্পের সঙ্গে যুক্ত চাষি, চটকল ও শ্রমিকদের মধ্যেই প্রধানত এই টাকা লেনদেন হবে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় সরকার।
সূত্রের খবর, অতীতে বিদেশ থেকে আনা যে সমস্ত চটের বস্তাগুলি ব্যবহার করা হত সেগুলির উপর কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে, বর্তমানে অন্য দেশ থেকে কিনে আনা পাটের কাপড়ও ব্যবহার করা যাবে না।
এছাড়া অনেক সময়ই দেখা যায় যে, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান থেকে সস্তার হাতফেরতা বস্তা কিনে আনার ব্যাপারে অভিযোগ উঠছে। এতে একদিকে যেমন শস্য নষ্ট হচ্ছে আর আরেক দিকে পুরোনো বস্তা দিয়ে নতুন বস্তার দাম নেওয়ার মতোও দুর্নীতিও ঘটছে। আর এই কারণেই দেশে উৎপাদিত চটের বস্তায় খাদ্যশস্য ভরার কথা বলা হয়েছে।
১৯৮৭ সালের চটের বস্তা ব্যবহার করার জন্য যেসমস্ত কেন্দ্রীয় আইন রয়েছে তাতে কোনো গাফিলতি করা যাবে না জানালেন বস্ত্র মন্ত্রকের কর্তারা। এইভাবেই দেশের বস্তা ব্যবহার করলে একসঙ্গে দুই রকম সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করা হচ্ছে।