বার্লিন পাড়ি দিল জোয়েল ও শাইন

 

দার্জিলিং-এর চিড়িয়াখানায় বেড়ে ওঠা দুই খুদে লাল পান্ডা জোয়েল এবং শাইন বুধবার ভোররাতে কলকাতা থেকে জার্মানির উদ্দেশ্যে রওনা হল। গতবছর জানুয়ারি মাসে জার্মানির বার্লিনের টিয়ের পার্ক চিড়িয়াখানা থেকে দার্জিলিং-এর চিড়িয়াখানায় এসেছিল ভুটানের জাতীয় প্রাণী মিসমি টাকিন। মোট পাঁচটি টাকিন এসেছিল দার্জিলিং-এ। এবারে তার বদলেই দুটি রেড পান্ডাকে বার্লিনের চিড়িয়াখানার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।

                স্টেট্ জু অথরিটির সদস্য সচিব বি কে যাদব জানান, বুধবার ভোর ৩টে নাগাদ একটি পুরুষ ও একটি মহিলা রেড পান্ডা কলকাতা থেকে বিমানে জার্মানির উদ্দেশ্যে পাঠানো হল। দার্জিলিং চিড়িয়াখানার অধিকর্তা রাজেন্দ্র জাখর জানান, পুরুষ রেড পান্ডাটির বয়স চার বছর ছ মাস। অপরদিকে মহিলা রেড পান্ডাটির বয়স পাঁচ বছর ছ মাস। মহিলা রেড পান্ডাটির নাম শাইন এবং পুরুষ রেড পান্ডাটির নাম জোয়েল। সেখানকারই বাসিন্দা শিফু এবং শীতলের সন্তান জোয়েল এদিকে কাইজালা এবং সমৃদ্ধির সন্তান শাইন। দার্জিলিং থেকে ১৫ কিমি দূরে টোপকে দারোতে অবস্থিত রেড পান্ডা প্রজনন কেন্দ্রে জন্ম হয়েছিল দুজনেরই। গত চার-পাঁচ বছর ধরে চিড়িয়াখানার কর্মীদের দেখাশোনায় বড় হয়ে উঠছিল দুজনে। ঘরের দুই সদস্যের চলে যাওয়ায় দুঃখ হলেও একদা বিলুপ্তপ্রায় রেডপান্ডাকে বিশ্বের সমস্ত প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়ার ব্রত নিয়েছিল দার্জিলিং চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। সেই সংকল্প যে সফল হতে চলেছে, তা নিয়েই খুশি রাজ্য বনদফতর।

                 রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, নির্দিষ্ট সময়মতোই চিড়িয়াখানাগুলি নিজেদের মধ্যে বন্যপ্রাণী অদল বদল করে থাকে। রাজ্য বন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রেড পান্ডার প্রজনন প্রকল্পকে আরও বড় আকারে করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এই কারণে দার্জিলিংয়ের তোপকে দারোতে যে বিশেষ প্রজনন কেন্দ্র রয়েছে, সেই জায়গাকে আরও বাড়ানোর জন্য সেন্ট্রাল জু অথরিটির কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের সম্মতি এসে গিয়েছে প্রাথমিকভাবে, এরপর রাজ্য অ্যাকশন প্ল্যান পাঠিয়েছে। কেন্দ্র সেটি দেখে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে। আসলে রেড পান্ডা একটি আকর্ষণীয় প্রাণী। যার চাহিদা শুধু দেশেই নয়, রয়েছে বিদেশীদের মধ্যেও। এবার সেরকমই সুযোগ পাবে ইউরোপের মানুষ।

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...