ত্রেতা যুগে বিষ্ণুর অবতার রামচন্দ্রের স্ত্রী সীতাকে হরণ করে নিয়ে গিয়েছিল লঙ্কার অধিপতি রাবণ। আর রামচন্দ্রের বিশ্বস্ত ভক্ত বজরংবলী হনুমান লঙ্কায় নিজের লেজের মাধ্যমে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন রাবণের সুসজ্জিত প্রাসাদে। আর তার থেকেই যুদ্ধের ডাক পড়ে গিয়েছিল। পুরাণকথার সেই ঐতিহাসিক কাহিনীর উপর ভিত্তি করেই এবার থিম গড়তে চলেছে জোড়াসাঁকো ৭-এর পল্লী সার্বজনীন দুর্গাপুজো।
‘জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯’-এর পুজোর আড্ডায় জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে উপস্থিত ছিল জোড়াসাঁকো ৭-এর পল্লী সার্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি। সঞ্চালক সিঞ্চিতার সাথে নিজেদের পুজো নিয়ে কথা বললেন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সন্দীপ পাত্র, কোষাধ্যক্ষ জয়দীপ দাস এবং সংযোজক ডঃ কুশল সেন।
এবছর ৫৩তম বর্ষে পদার্পণ করতে চলেছে জোড়াসাঁকো ৭-এর পল্লী সার্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির পুজো। গত ৫ প্রজন্ম ধরে এই কমিটির সদস্যরা এই পুজোটির দেখাশোনা করছেন। ২০০৯ সাল থেকে থিমের পুজোয় পা দেয় তারা। এই বছর তাদের থিমের নাম ‘লঙ্কাদহণ’। থিম শিল্পী প্রসেনজিৎ বিশ্বাস-এর হাত ধরে কেমন রুপ পায় এই থিম এখন সেটিই দেখার।
অষ্টমীর দিন ভোগ হিসেবে মাকে বিশেষ একরকম ভোগ দেয় জোড়াসাঁকো ৭-এর পল্লী। শুকনো খাবার তারা ভোগ হিসেবে প্রদান করে মায়ের চরণে, যা অভিনব তো বটেই।
দমদম কিংবা কবি সুভাষগামী কোনও মেট্রো ধরে নামতে হবে গিরীশ পার্ক মেট্রো স্টেশনে। সেখান থেকে কিছুটা হাটলেই পৌছে যাবেন জোড়াসাঁকো ৭-এর পল্লী সার্বজনীন দুর্গাপুজোর মন্ডপে।