অতীতে নানা ভূমিকায় দেখা গিয়েছে গ্র্যামি জয়ী এই সঙ্গীত তারকাকে। গান ,পারফরম্যান্স, শোয়ের ব্যস্ততা ছাড়াও সারা বছর সামাজিক কাজে জড়িয়ে থাকেন। তবে সে সব কাজকে তিনি সব সময়ই প্রচারের আলোর বাইরে রেখেছেন।
এবার তিনি অভিনব পরিকল্পনা করেছেন। ডরোথি হার্লের সঙ্গে যৌথ ভাবে, দুঃস্থ মানুষদের জন্য ‘সোল কিচেন’ নামে দুটি কমিউনিটি রেস্তোরাঁ শুরু করেছেন।দুঃস্থ মানুষরা প্রত্যেকদিন বিনামূল্যে আহার করে এই দুই রেস্তোরাঁয়।
২০১১ সালে নিউ জার্সিতে প্রথম শুরু হয়, ‘সোল কিচেন’। রেস্তোরাঁর মেনু চার্টেও কোথাও খাবারের দাম লেখা থাকে না। তবে ডিনারের জন্য কিছু অনুদানের অনুরোধ করা হয়। যারা আর্থিক কারণে অনুদান দিতে পারেন না তাদেরও আন্তরিক ভাবে স্বাগত জানায় কর্তৃপক্ষ।
;
২০১৬ তে রেস্তোরাঁর আরও একটি শাখা চালু করেন দম্পতি। নিউজার্সিতেই টমস নদীর তীরে।
ভবিষ্যতে রুটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেও একটি শাখা চালুর পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা। ছাত্রছাত্রীদের জন্য।
সোল কিচেনে দিনে প্রায় এক লক্ষের বেশি মানুষ ‘মিল সার্ভিস’ নেন। তার মধ্যে ৪৯ শতাংশ মানুষ অনুদান দিতে সমর্থ হন। খাবারের গুণগত মান এবং পরিমাণের সঙ্গে কোনওরকম আপোষ করা হয়না। তিন কোর্সের লাঞ্চ ডিনারে মাছ, স্যালাড এবং ডেজার্টও থাকে। মিল শুরু হয় স্যালাড বা স্যুপ দিয়ে। নিরামিষ খাবারও পাওয়া যায়।
রেস্তোরাঁর প্রয়োজনীয় উপকরণ ও সবজি আসে সোল কিচেনের নিজস্ব খামার থেকে।