এই ক্লাবের বিষয় বলার আগে একটা কথা বলে দেওয়া দরকার যে সহযাত্রী কাকে বলে? সাধারণত কেউ যদি মারা যায় তাহলে তার সাথে শ্মশান যাত্রী যারা হয় তাদের বলা হয় সহযাত্রী। সে ১৯৪৮ সালের কথা, একবার এই ক্লাবের প্রথম সদস্য যারা ছিলেন তারা শ্মশান যাত্রা করার সময় হঠাৎই দুর্গা পুজো করার কথা মাথায় আসে।
কিন্তু বললেই তো আর পুজো করা সম্ভব নয়, তার জন্য প্রয়োজন একটি নিদৃষ্ট স্থান ও পুজো কমিটির পরিচয়। তো কি হবে এই পুজোর পরিচয়? তখন তাদেরই মধ্যে একজন বলে বসে যেহেতু তারা সহযাত্রী তাই ক্লাবের বা পুজো কমিটির নাম রাখা হোক সহযাত্রী ক্লাব। সেইথেকে শুরু তাদের পথচলা। জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠান উপলক্ষে আমাদের স্টুডি-এ উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সহ-সম্পাদক জয়দীপ চক্রবর্তী ও কোষাধ্যক্ষ কিশোর বভিসি। এইবছর ৭১ তম বর্ষে পদার্পন করল তাদের সাবেকি পুজো।
পঞ্চমীর দিন উদ্বোধনের মাধ্যমে শুরু হবে তাদের ২০১৯ শারদোৎসবের পথচলা। এলাকা সংলগ্ন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ১০০ জন মানুষ সপ্তমীর অঞ্জলিতে অংশগ্রহন করে। অষ্টমীতে ক্লাবের তরফ থেকে যে ভোগ বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় তাতে সকল দর্শনার্থীরাও মায়ের ভোগ গ্রহন করতে পারেন। দশমীর দিন ধুনোচি নাচ ও সিঁদুর খেলার মধ্যে দিয়ে মা কে বিদায় জানানো হয়। দমদম বা কবি সুভাষগামী যে কোনও মেট্রোয়ে উঠে নামতে হবে মহানায়ক উত্তম কুমার, সেখান থেকে অটো ধরে বেহালা শখেরবাজারের নিকটে অবস্থিত এই পূজা মন্ডপ।