বারকোড বনাম কিউআর কোড

বারকোড আর কিউআর কোড এই শব্দ দুটি বেশ পরিচিত বর্তমান প্রজন্মের কাছে। দোকানে বাজারে প্রায়শই শুনতে হয় এই শব্দ দুটি। এই দুটি হলো দুই ধরণের কোড। পণ্য কেনার সময় বিভিন্ন পণ্যের প্যাকেটের গায়ে যে কোড আমরা দেখি তা হলো বারকোড। আর স্মার্টফোন বা সেরকম কোনো টেকনোলজিযুক্ত ডিভাইসে আমরা যে কোড দেখি সেটি হলো কিউআর কোড অর্থাৎ কুইক রেস্পন্স কোড।উভয় ধরণের কোডই জ্যামিতিক আকারের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য তার মধ্যে সংরক্ষণ করে রাখে। অপটিক্যাল ডিভাইস অর্থাৎ স্ক্যানারের ব্যবহারের মাধ্যমে সেই তথ্য মানুষের সামনে চলে আসে।

 

বারকোড আর কিউআর কোড প্রায় ধরণের হলেও তফাৎ আছে অনেককিছুতেই। জানা গেছে, মূলত তিনটি জায়গায় থাকে এদের মধ্যে পার্থক্য। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই দুই কোড সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তথ্য......

 

১) প্রথম তফাৎটা হলো বাহ্যিক গঠনে বা বাহ্যিক রূপে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বারকোড হলো একমাত্রিক জ্যামিতিক চিত্র সেখানে কিউআর কোড হলো দ্বিমাত্রিক

 

২) বারকোড অনুভূমিক তল বরাবর তথ্য সংরক্ষণ করে থাকে। অন্যদিকে, কিউআর কোড উল্লম্ব এবং অনুভূমিক দুই তলেই তথ্যের সংরক্ষণ করে থাকে।

 

৩) বারকোড যেখানে শুধু আল্ফ়া নিউমেরিক তথ্য সংরক্ষণ করে সেখানে কিউআর কোড আল্ফ়া নিউমেরিক তথ্য ছাড়াও বিভিন্ন ছবি, বাইনারি তথ্য প্রভৃতিও সংরক্ষণ করতে সক্ষম।

 

এর থেকে খুব বেশি পার্থক্য নেই এই দুই কোডের মধ্যে। যেটুকু পার্থক্য রয়েছে সেটুকুই কিউআর কোডকে বারকোডের থেকে অনেকবেশি শক্তিশালী করে রেখেছে

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...