চন্দ্রযান-৩ এ করে চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে বিক্রম। তার গর্ভ থেকে বেরোবে প্রজ্ঞান রোভার। তার ছটি চাকায় প্রতি সেকেন্ডে গড়াবে একসেন্টিমিটার করে। চাকা গড়াবার সঙ্গে সঙ্গে রেখে যাবে ভারতের অশোক স্তম্ভ ও ইসরোর লোগোর ছাপ।প্রজ্ঞান রোভারের সাথে চন্দ্রযান-৩ এর বিক্রম ল্যান্ডার ২৩আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করেছে সফভাবে। পাখির পালকের মতো সফ্ট ল্যান্ডিং হয়েছে। প্রত্যেক ভারতবাসীই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে ছিলেন এই দিনটার জন্য। চন্দ্রযান-৩ কে আগের সকল মুন মিশনের তুলনায় সবচেয়ে সাশ্রয়ী মিশন হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত চন্দ্রযান-৩ এর জন্য সব থেকে কম অর্থ ব্যয় হয়েছে। মাত্র ৬১৫কোটি টাকায় এই মিশন সফল করতে পেরেছে ভারতীয় স্পেস সংস্থা।
প্রজ্ঞান রোভার চাঁদের মাটিতে নেমেই শুরু করবে নেভিগেশন ক্যামেরার কাজ। এর অন্যতম মুখ্য ভূমিকায় আছে বঙ্গ-তনয় জয়ন্ত লাহা ও তার টিম।তিনি উত্তরপাড়ার বাসিন্দা।
উত্তরপাড়া গভর্নমেন্ট হাইস্কুলে তার পড়াশোনা। তারপর ভর্তি হন শিবপুর বিই কলেজে। খড়্গপুর আইআইটিতে ভর্তি হন তিনি। সেখান থেকে মাস্টার্স শেষ করার পর ইসরোতে যোগ দেন ২০০৯ সালে। চন্দ্রযান-৩ মিশনের ইসরোর বিজ্ঞানীদের যে টিম কাজ করেছে সেই টিমের অন্যতম সদস্য জয়ন্ত। চন্দ্রযান-৩এর সরাসরি সম্প্রচারে অন্যান্য বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি দেখা মিলছিলো জয়ন্ত-র।
তাঁদের সাফল্যে গোটা ভারতবর্ষ আজ গর্বিত। ভারতের হাতের মুঠোয় চাঁদের দক্ষিণ মেরু। ছেলের সফলতায় গর্ববোধ করছেন তার বাবা প্রশান্ত লাহা ও মা চন্দনা লাহা।
জয়ন্তকে শুভেচ্ছা জানাতে উত্তরপাড়ার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব তার বাড়িতে গিয়েছিলেন। ছেলের এই সাফল্যে গর্বিত বাবা বলেন যে চন্দ্রযান-২ এর ব্যর্থতায় মন খারাপ ছিল জয়ন্ত-র। কিন্ত এবার সেই সাফল্যে তারা সকলেই খুশি।
তিনি আরোও বলেন কাজ এখনও বাকি আছে। মিশন শেষেই ছেলের সাথে ফোনে যোগাযোগ করবেন।
জয়ন্ত লাহার মা জানান ছোটবেলায় ছেলের পোলিও হওয়ায় জয়ন্তকে ডাক্তার কোনোরকম কোনো চাপ দিতে বারণ করেছিলেন। তারাও চাপ দেননি। ছেলে তার নিজের ইচ্ছেয় এগিয়ে গেছে।
চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যে গোটা দেশবাসী গর্বিত। এই সাফল্য ভারতকে জগৎ-সভায় শ্রেষ্ঠ আসন পাইয়ে দিলো আরো একবার।