যুদ্ধের ছবি দিয়ে শুরু করেছিলেন কেরিয়ার। তখন সবে পঁচিশ। প্রাক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আর যুদ্ধ পরিস্থিতিকে ফ্রেমবন্দী করতেন । যুদ্ধ ক্ষেত্রকে ভয় পাননি কোনদিন। সেভাবেই দেখেছেন জীবনকে। ক্যামেরা তাঁর প্যাশন। সেই প্যাশনকে আঁকড়েই কাটিয়ে দিলেন জীবনের ১০০ বছর। এখনও শাটারে হাত দিলেই পঁচিশের তরুণী।
সুনেকো সুসামাতো। জাপানের প্রথম মহিলা ফটোগ্রাফার। শতবর্ষ পেরিয়ে এসেও সচল তাঁর ক্যামেরা।
বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ চিত্র সাংবাদিক।
হাত অশক্ত হয়েছে কিন্তু ছাড়েননি ছবি তোলা। তাঁর অভিধানে বিরতি নামের শব্দটার কোনও জায়গাই নেই।
৭০ বছরের ফটোগ্রাফার জীবনে যত ছবি তুলেছেন তার একটি সংকলন প্রকাশ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। সেই কাজেই কেটে যায় দিনের সিংহ ভাগ সময়।
গত বছর পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন বাম হাতে। জখম হয় দুই পা। কিন্তু ক্যামেরা ছাড়তে পারেন নি। ছবি তাঁর আজন্মের প্যাশন।
নিজের ৯৭ বছরের জন্মদিনে ছবির প্রদর্শনী করেছিলেন। ‘হানা আকারি’ নামে একটি সিরিজ করেছিলেন। মূল বিষয় ফুল। তাঁর বন্ধু, সহকর্মী ফটোগ্রাফাররা যাঁরা আর নেই তাঁদের স্মৃতিতে। দীর্ঘ জীবনে আঘাত এসেছে, প্রিয়জন বিয়োগ ঘটেছে। কিন্তু স্মৃতি কাতরতা তাঁকে দুর্বল করে তুলতে পারেনি। বেঁচে থাকা বলতে ছবিই বোঝেন।
সুনেকো বলেন, ‘ অলসতা জীবনের সবচেয়ে খারাপ অসুখ। পরিস্থিতি যেমনই আসুক, হাল ছাড়তে নেই। সব সময় পজেটিভ থাকতে হয়’।
যে যাই বলুক নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাক, জুনিয়র ফটোগ্রাফার দের এই বার্তাই দিয়েছেন তিনি।