সত্যজিৎ রায়ের ‘খগম’ গল্পের ধূর্জটিবাবু সাপ হয়েছিলেন ইমলিবাবার শাপে। একালেও তেমন নজির অমিল নয়। শখপূরণ করবে বলে সাপের মতো কেউ বদলে নিয়েছে নিজেকে। তার গা ভর্তি ট্যাটু আর কাটা জিভে চমকেছে দুনিয়া। কিন্তু শুধুমাত্র শখের বসে রাতারাতি মানুষ থেকে কেউ কুকুর হয়েছেন এমন ঘটনা বিরল। ‘কালীঘাটের কুকুর হবে তুমি’ রেগে-চটে কারও মুখে এমন গালি বাংলায় হামেশাই শোনা যায়। সেই কান্ডই ঘটেছে জাপানে।
ভারতীয় মুদ্রায় ১২ লক্ষ টাকা খরচ করে মানুষ থেকে কুকুর হয়েছে জাপানের এক ব্যাক্তি। এখন তার নাম ‘টোকো’ গলায় চেন বাধা লোমশ কুকুর হয়ে তিনি দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন পার্কে রাস্তায়।
নিজের ভিডিয়ো বানিয়ে ইউটিউব চ্যানেলে আপলোডও করেছেন। তারপর থেকেই ভাইরাল ‘টোকো’। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে এক মহিলা সঙ্গে নিয়ে ঘুরছেন টোকোকে। এই কুকুরটি এখন তাঁর। তাকে দেখে বোঝার উপায় নেই টোকো আসলে কে। দিব্যি রাস্তায় গন্ধ শুঁকতে শুকতে চলছে সে। লেজ নাড়চ্ছে, বন্ধুত্ব করছে অন্য কুকুরদের সঙ্গে। তাঁরাও কাছে এসে তার গা শুঁকে যাচ্ছে। তার কান্ড কারখানা দেখে অনেকেই আদর করতে আসছে তাকে। তাতে টোকো বেজায় খুশি।
কীভাবে মানুষ থেকে কুকুর হল সে?
গোটা কান্ডের নেপথ্যে জাপানি সংস্থা জিপেট। তারা মূলত টিভি শো ও সিনেমার জন্য পোশাক তৈরি করে থাকে। নিজের শখ পূরণের জন্য সেই সংস্থার দ্বারস্থ হন এই জাপানি ব্যক্তি। অনুরোধ করেন কুকুরের সাজের একটি রিয়েলিস্টিক পোশাক বানিয়ে দেওয়ার। তেমন পোশাক বানানো সহজ নয়। তার জন্য বিপুল অঙ্ক দাবী করে সংস্থা। ৪০ দিন ধরে ২ মিলিয়ন ইয়েনের বিনিময় তারা কলি কুকুরের কস্টিউম বানিয়ে দেয়। তা যা ভারতীয় মুদ্রার নিরিখে ১২ লাখ টাকার সমান। কলি পছন্দের ব্রিড তাই ‘কলি’ হওয়ারই ইচ্ছে ছিল তার।
ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিয়ো প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নেট দুনিয়ায় ঝড়ের বেগে ভাইরাল হয় ‘হিউম্যান ডগ’ টোকো।