২০১৭ সালের জুন মাস। জল্পনা মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষ হতেই ভারতীয় দলের কোচের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন অনিল কুম্বলে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরেই শেষ হয়ে গিয়েছে কুম্বলের চুক্তি। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর পর্যন্ত তাঁকে ভারতীয় দলের কোচের দায়িত্ব সামলাতে বলা হলেও, তিনি সরেই দাঁড়ান। সেই সময় লন্ডন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্দেশে উড়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল। কিন্তু দলের সঙ্গে যাননি অনিল কুম্বলে। গুঞ্জন শুরু হয়েছিল তার কদিন আগে থেকেই। জানা যাচ্ছিল না আদৌ দলের সঙ্গে যাবেন কি না কুম্বলে। টিম ম্যানেজমেন্টও তা নিয়ে কোনও তথ্য জানাতে পারেনি। ক্রিকেটাররাও ছিলেন পুরো অন্ধকারে। শেষ পর্যন্ত খোলসা করেছিলেন স্বয়ং কুম্বলেই।
তার ঠিক এক বছর আগে ২০১৬ সালের জুন মাসে অনেক জল্পনা, অনেক নামের মধ্যে থেকে শেষ পর্যন্ত ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল অনিল কুম্বলেকে। ৪৫ বছরের কুম্বলে জুলাই-আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকেই দলের দায়িত্ব নেন। এক বছরের জন্যই চুক্তিবদ্ধ করা হয় তাঁকে। সেই সময় ভাবা হচ্ছিল আবার ফিরিয়ে আনা হবে রবি শাস্ত্রীকেই। তাঁর টিম ডিরেক্টর থাকার সময় সাফল্য এসেছিল ভারতীয় ক্রিকেটে। কিন্তু সব হিসেব উল্টে দিলে প্রাক্তন অধিনায়ক কুম্বলেকেই বেছে নিয়েছিলেন সৌরভরা। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিন তেন্ডুলকর ও ভিভিএস লক্ষ্মণের কমিটির সামনে পরীক্ষায় বসতে হয়েছিল আবেদন জানানো সকলকেই। কুম্বলে এলেও রবি শাস্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে ইন্টারভিউ ও নিজের প্রেজেন্টেশন দেন। সেই তালিকায় ছিলেন প্রভীন আমরেও।
কিন্তু তিন প্রাক্তন ক্রিকেটারের কমিটি শেষ পর্যন্ত বেছে নিলেন কুম্বলেকেই। আর কমিটির সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিল তৎকালীন বিসিসিআই। ২৪ জুন ধর্মশালার সভায় ভারতীয় সিনিয়র ক্রিকেট দলের কোচের নাম ঘোষণার কথা থাকলেও একদিন আগেই তা জানিয়ে ছিল বিসিসিআই। ঐ পদের জন্য মোট ৫৭ জন আবেদন জানিয়েছিলেন। ভারতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পেয়ে কুম্বলে বলেছিলেন, ''আবার ভারতীয় ক্রিকেট দলের ড্রেসিংরুমে ফিরছি। অনেক বড় দায়িত্ব আমার সামনে এখন।''
কিন্তু একবছরের মধ্যেই কোহলি ও কুম্বলের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকে। সে কারণে শুরু হয় নতুন কোচের খোঁজ। বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় আবেদনপত্র চেয়ে। যেটা কুম্বলের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। তাঁর হাত ধরে কম সাফল্য পায়নি ভারতীয় দল। ঘরের মাঠে টানা টেস্ট সিরিজ জয়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পৌঁছনো সবই রয়েছে সেই তালিকায়। তার পরও নতুন কোচের খোঁজ শুরু হওয়াটা ভালভাবে নিতে পারেননি তিনি। সেই কারণেই তাঁর সরে দাঁড়ানো।
২০০৮ সালের ২ নভেম্বর দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টের পরে অবসর ঘোষণা করেন কুম্বলে। সৌরভ গাঙ্গুলি ও অনিল কুম্বলে একই টেস্ট সিরিজ থেকে অবসর নেন। একই সিরিজ থেকে দুই ভারত অধিনায়কের অবসর এর আগে বা পরে এখনও হয়নি।
১৯৭০ সালের ১৭ অক্টোবরে অধুনা বেঙ্গালুরুতে ভারতীয় ক্রিকেটের জাম্বোর জন্ম। কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে জন্ম হলেও কুম্বলে কেরলিয়ান। তাঁর ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ তৈরি করেছিলেন আরেকজন ক্রিকেটার। তাঁর নাম বি এস চন্দ্রশেখর। ১৯৯৮৯ সালে ১৯ বছর বয়সে কুম্বলে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে কর্ণাটকের প্রতিনিধিত্ব করার মাধ্যমে অভিষেক করেছিলেন।
পরের বছর তাকে অস্ট্রেলিয়া-এশিয়া কাপের জন্য নেওয়া হয় সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকের আগে। তারপর থেকে তিনি 132 টিরও বেশি টেস্ট ম্যাচে ভারতীয় টেস্ট দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং ভারতের অনেক জয়ের জন্য দায়ী ছিলেন। কুম্বলে ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে নিয়মিত একদিনের দলের একজন হয়ে ওঠেন এবং এই সময়ে কিছু অসাধারণ পারফরম্যান্স করেন। যার মধ্যে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১২ রানে ছয় উইকেট। ১৯৯৬ সাল তার জন্য অত্যন্ত সফল প্রমাণিত হয়। ওই বছর বিশ্বকাপের দলে নির্বাচিত হন এবং টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল বোলার হিসেবে আবির্ভূত হন। তিনি সাতটি ম্যাচ খেলে ১৮.৭৩ গড়ে ১৫ উইকেট পান।
কুম্বলে সর্বকালের সবচেয়ে সফল ভারতীয় বোলার এবং টেস্টে সর্বকালের চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। তিনি টেস্টে ৩৫ বার পাঁচ উইকেট এবং আটটি দশ উইকেট শিকার করেছেন এবং দুটি ওয়ানডেতে পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন। কুম্বলের পুরো টেস্ট ক্যারিয়ারে ৪০৮৫০ বল বোলিং করার রেকর্ড রয়েছে, যা ভারতীয়দের জন্য সর্বোচ্চ এবং সামগ্রিকভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। কুম্বলে তাদের পুরো কেরিয়ারে ৯০০-র বেশি উইকেট নেওয়া ছয় বোলারের একজন, তার কেরিয়ারে উইকেট ৯৫৬।
বিশ্ব ক্রিকেটে এক ইনিংসে দু'বারই এমনটা হয়েছিল। এর আগে ১৯৫৬তে ইংল্যান্ডের অফ-স্পিনার জিম ল্যাকার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন। কিন্তু কুম্বলের উইকেটের দিনটি কাকতালীয়ভাবে এক অদ্ভুত ঘটনা। যে ভাবে সেদিন এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটকে ধাক্কা দিয়েছিলেন সেদিন দিল্লিতে ভূমিকম্প হয়েছিল। তার ১৮ বছর পরও ভুমিকম্পে কাঁপল দিল্লি। একদিন আগে। কাকতালীয়ই বটে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সে বার ব্যাট হাতে সফল ছিলেন না কেউই। প্রথম ইনিংসে ভারত মাত্র ২৫২ রানই তুলতে পেরেছিল। বড় রান বলতে অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিনের ৬৭ ও সদগোপান রমেশের ৬০ রানের সুবাদে এই রানে পৌঁছতে পেরেছিল দল। সাকলিন মুস্তাক পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন। কিন্তু কে জানত পরে তাঁদের জন্য কী অপেক্ষা করছে। ১৭২ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। যেখানে কুম্বলের ৭৫ রানে ৪ উইকেট ও হরভজন সিংহর ৩০ রানে তিন উইকেটেই বাজিমাত
দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩২ রান তোলে ভারত। যেখানে রমেশ ৯৬, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ৬২ ও জাভাগাল শ্রীনাথ ৪৯ রান করেন। সাকলাইন মুস্তাক আবার পাঁচ উইকেট নেন। আসল ড্রামা অপেক্ষা করছিল এখানেই। যখন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। তৈরি হয় ইতিহাস। পাকিস্তানের সামনে তখন ৪১২ রানের লক্ষ্য। হাতে তখনও দু'দিন। সইদ আনোয়ার ও শাহিদ আফ্রিদির ১০১ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ ভাঙে আফ্রিদির আউটে। পরের বলেই ফেরেন ইজাজ আহমেদ। ১০১/০ থেকে ১১৫/৪ হয়ে যায় মুহূর্তেই। যেখান থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি পাকিস্তান। ২০৭ রানে শেষ ইনিংস। যেখানে কুম্বলের বলে কখনও ক্যাচ নেন লক্ষ্মণ তো কখনও মোঙ্গিয়া, সৌরভ, দ্রাবিড়, এর বাইরে তিনটি এলবিডব্লু, দুটো বোল্ড। ২৬.৩ ওভারে ন'টি মেডেন দিয়ে ৭৪ রানে ১০ উইকেট নিজের নামে লিখে নেন অনিল কুম্বলে গড় ২.৭৯। দুই ইনিংস মিলে মোট ১৪।
৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৯। এই দিনটিতে দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় এক ইনিংসে ১০ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন অনিল কুম্বলে। সেদিনের সেই কুম্বলে এখন ভারতীয় সিনিয়র দলের হেড কোচ। বদলে গিয়েছে দায়িত্ব। বদলে গিয়েছে জায়গাও। এখন আর বল হাতে ভরসা দিতে হয় না দলকে। এখন দায়িত্ব পুরো দলের। সেই কুম্বলের ক্রিকেটার জীবনের আজকের দিনটি বিশ্ব ক্রিকেটেও সেরা।
ভারতীয় ক্রিকেটে অনিল কুম্বলে অন্যতম সেরা বোলার হতে পারেন। তবে জাতীয় দলে তাঁর অভিষেকের সময়টা মোটেই মধুর ছিল না। নির্বাচনের সময় থেকেই তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। জাতীয় দলে শুরুর দিকেই কপিল দেবের বকুনি খান কুম্বলে। সে সব কাটিয়েও দেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছেন। ওই ঘটনা তাঁকে মানসিক ভাবে শক্তিশালী করে বলে মনে করেন বিষেণ সিংহ বেদী।
কপিলের বকুনির প্রসঙ্গ তুলে একবার বেদী এ কথা বলেন। ভারতের প্রাক্তন স্পিনার জানিয়েছেন, জীবনের প্রথম টেস্টেই বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের বকা খেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন কুম্বলে। পরে অবশ্য ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন।
বছর কয়েক আগে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়কে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নীতি আধিকারিক ডি কে জৈনের নোটিস পাঠানো নিয়ে তোলপাড় হয় ক্রিকেটমহলে। তা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন জাতীয় দলে দ্রাবিড়ের প্রাক্তন সতীর্থ অনিল কুম্বলে।
প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক কুম্বলে বলেন, ''জীবনের যে কোনও পেশায় স্বার্থ সংঘাত জড়িয়ে রয়েছে। কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগে সেই বিষয় নিয়ে আপনি কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তার উপরেই সমস্ত কিছু নির্ভর করে।'' কুম্বলে বলেন, ''এটা দেখে হতাশ লাগে যে, শুধুমাত্র ক্রিকেটারদের এই বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে। খুব কম ক্রিকেটারই রয়েছে, যাঁরা দেশকে সাফল্য এনে দিয়েছেন।'' আরও বলেছেন, ''ভারতে তিনশো জনকে পাওয়া যাবে যাঁরা দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। এর মধ্যে অর্ধেক ক্রিকেটার হয়তো ক্রিকেটকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে খেলাটার সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের যদি কাজটা করতে না দেওয়া হয়, খুঁজতে হবে কারা ক্রিকেটকে কিছু ফিরিয়ে দিতে চান।''
এবছর মে মাসে আচমকা টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ার পুরনো ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন বীরেন্দ্র সহবাগ। এক অনুষ্ঠানে সহবাগ বলেছেন, ''আচমকাই আবিষ্কার করলাম, আমি আর টেস্ট দলের অংশ নই। আমাকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। হয়তো দশ হাজারের উপর রান নিয়েই টেস্ট কেরিয়ার শেষ করতে পারতাম, যদি না সেই পর্বটায় আমাকে বাদ দেওয়া হত।'' ক্রিকেট জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এক প্রাক্তন অধিনায়কের কাছে কৃতজ্ঞ সহবাগ। তাঁর নাম? অনিল কুম্বলে। অস্ট্রেলিয়া সফরে নির্বাচকদের সঙ্গে অনেক লড়াই করে সহবাগকে দলের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন অধিনায়ক কুম্বলে। তাঁর জোরাজুরিতেই নির্বাচকেরা অতিরিক্ত সদস্য হিসেবে তাঁকে রাখতে রাজি হন। সহবাগ তাঁর অধিনায়ককে নিরাশ করেননি।
সেই সফর সম্পর্কে অজানা কাহিনি শুনিয়েছেন সহবাগ। ফাঁস করেছেন, পার্থ টেস্টের আগে কুম্বলে এসে তাঁকে বলেন, প্রস্তুতি ম্যাচে একটা অর্ধশতারন করো শুধু। তা হলেই তোমাকে পার্থ টেস্টে খেলানো হবে। পার্থে সেই টেস্টে সহবাগ খেলেন এবং ভারতও জেতে। কিন্তু সহবাগ তাঁর পুরনো মেজাজে ফেরেন অ্যাডিলেডে। প্রথম ইনিংসে ৬৩ করার পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫১ করে ম্যাচ বাঁচান তিনি। ''ওই ৬০ রান আমার জীবনের কঠিনতম। আমি ব্যাট করছিলাম অনিল ভাইয়ের দেখানো আস্থার মর্যাদা রক্ষা করতে। চাইনি আমাকে অস্ট্রেলিয়া নিয়ে আসার জন্য অনিল ভাইকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হোক,'' বলেছেন সহবাগ।
প্রথম ইনিংসে লড়াই করে রান করার পরে দ্বিতীয় ইনিংসে স্বমেজাজে ফেরেন নজ়ফগড়ের নবাব। নিজের পছন্দের গান গাইতে থাকেন, আম্পায়ারের সঙ্গে গল্প শুরু করে দেন। ফল? ১৫১ রানের সহবাগোচিত ইনিংস। সফর শেষে কী বলেছিলেন কুম্বলে? সহবাগ ফাঁস করছেন, ''অনিল ভাই বলে, যত দিন ক্যাপ্টেন থাকবে আমাকে কখনও বাদ পড়তে হবে না।'' এ রকম প্রতিশ্রুতি তিনি জীবনের শুরুতে অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের থেকেও পেয়েছিলেন বলে জানান সহবাগ। তাঁর কথায়, ''এক জন খেলোয়াড় এই বিশ্বাসটাই পেতে চায় তার অধিনায়কের থেকে। যেটা আমি শুরুর দিকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের থেকে পেয়েছি আর পরের দিকে কুম্বলের কাছ থেকে।''
ওই সফরেই ঘটেছিল 'মাঙ্কিগেট' বিতর্ক। সেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের সম্প্রতি মৃত্যু ঘটেছে দুর্ঘটনায়। সহবাগ বলেছেন, ''অনিল কুম্বলে যদি অধিনায়ক না থাকত, ঘটনা আরও বাড়তে পারত। সফর বাতিল হয়ে যেতে পারত। হরভজন সিংহের ক্রিকেট কেরিয়ারও শেষ হয়ে যেতে পারত।''
দীর্ঘ কেরিয়ারে কোনও দিন বিতর্কের পথে হাঁটতে চাননি কুম্বলে। জাতীয় দলের কোচ হিসেবে থাকবেন বলে মাথা হেঁট করেননি সম্মানের কাছে। চাননি বিতর্কও। থেকেছেন অমলিন, যেমন ছিলেন পাতলা সোনালি ফ্রেমের চশমা পরে ক্রিকেট খেলা শুরুর প্রথম দিন থেকে।
নিবন্ধকারঃ ঋদ্ধি রিত