“পথ ভাবে আমি দেব রথ ভাবে আমি,
মূর্তি ভাবে আমি দেব—হাসে অন্তর্যামী”
-গৃহীত
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই সৃষ্টির সাথে প্রচুর মিল আছে জগৎ মুখার্জী পার্কের দুর্গা পুজোর। ১৯৯৮ কি ১৯৯৯ সাল, যখন সাবেকি ছেড়ে ধীরে ধীরে থিম পুজোয় প্রবেশ করতে শুরু করেছে পূজা কমিটিগুলি। তারও প্রায় ২৮বছর আগে, যখন থিম পুজো কি জিনিস জানতোই না কলকাতা বাসী, সেই সময় থেকে থিমপুজো করো আসছে এই ক্লাব। ১৯৭০ সালে অশোক গুপ্তো-র হাত ধরে শুরু হয় তাদের থিম পুজোর পথচলা।কলকাতার থিম পুজোর পথিকৃত বলে দাবিও করেন তারা।
জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠানে এসে এমনটাই জানালেন পূজা কমিটির সদস্যরা। পুজোর আড্ডা@জিয়ো বাংলায় সঞ্চালক সিঞ্চিতার সাথে উপস্থিত ছিলেন কমিটির কার্যনিবাহী সম্পাদক সোনাই সরকার ও কোষাধ্যক্ষ সৌরভ চ্যাটার্জী। এই বছর ৮৩তম বর্ষে তাদের থিম “রুদ্রতীর্থ”। থিম শিল্পী শ্রী সুপ্রতিম কর্মকার ও প্রতিমা শিল্পী নবকুমার পালের যৌথ প্রয়াসে রূপ পাচ্ছে তাদের পুজো।
দ্বিতীয়ার দিন উদ্বোধনের মাধ্যমে শুরু হবে তাদের এইবছর শারদোৎসবের পথচলা।ষষ্ঠী-র দিন বৃদ্ধাশ্রমের প্রবীন ও প্রবীনাদের নিয়ে, পুজো কমিটির তরফ থেকে পূজা পরিক্রমার আয়োজন করে। অষ্টমীর দিন কুমারি পুজোর পাশাপাশি সন্ধীপুজো উপলক্ষে থাকে বিশাল খাওয়া দাওয়ার আয়োজন। যেখানে এলাকাবাসী ও দর্শনার্থী মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষ মায়ের ভোগ পান।
দমদম বা কবি সুভাষগামী যে কোনও মেট্রোতে উঠে নামতে হবে শোভাবাজার সুতানুটি বা শ্যামবাজার মেট্রো, সেখান থেকে হাঁটা পথে পৌঁছে যেতে পারেন এই পূজা মন্ডপে। যারা লঞ্চে করে বা নদীপথে আসতে চান, তাহলে বাগবাজার ঘাটের নিকটে এই পূজা মন্ডপ।