জগন্নাথ শব্দের অর্থ হলো জগতের ঈশ্বর বা জগদীশ্বর।
সুত্র থেকে জানা যায়, জগন্নাথের স্নানযাত্রার পর মন্দির পনরো দিন পর্যন্ত বন্ধ থাকে।জগন্নাথের জ্বর হয়। পনরো দিন পর মন্দির খোলা হয়।
ভগবান জগন্নাথ দেবের আবির্ভাব তিথিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে জগন্নাথ দেবের এক বিশেষ স্নান যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। স্কন্ধ পুরাণ অনুসারে, রাজা ইন্দ্রদুম্ন যখন জগন্নাথদেবের কাঠের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করলেন তখন থেকে এই স্নান যাত্রার উৎসব শুরু। স্নান যাত্রার দিনটিকে জগন্নাথ দেবের আবির্ভাব তিথি বা জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়। স্নান যাত্রার আগের দিন জগন্নাথ, বলরাম,সুভদ্রা দেবী এবং সুদর্শন দেবকে বেদী থেকে বিশেষ ভাবে তৈরি করা স্নান বেদীতে নিয়ে আসা হয় স্নান মণ্ডপে। মন্ডপটি বেশ উচুঁ, সেখানে ঐতিহ্যবাহী ফুল, বাগান, তোরণ, পতাকা ও গাছের চিত্রকল্প দ্বারা সজ্জিত করা হয়। জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা দেবীর বিগ্রহ ফুল দিয়ে সাজানো হয়।
এরপর ধুপ, ধুনা অর্পণ করা হয়। পুরীতে স্নানের জন্য সোনার তৈরি এক ধরনের কুয়া থেকে জল আনা হয়। জল আনার সময় পুরোহিতরা তাদের মুখ কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখেন যাতে জল তাদের মুখনিঃসৃত কোন কিছু দ্বারা এমনকি তাদের নিঃশ্বাস দ্বারা দূষিত না হয়। স্নান মহোৎসবের পূর্বে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রাদেবীকে সিল্কের কাপড় দ্বারা আবৃত করে লাল এক ধরনের পাউডার দিয়ে প্রলেপ দেওয়া হয়। ১০৮টি স্বর্ণ পাত্র জল দ্বারা পূর্ণ থাকে।এই জল দ্বারা অভিষেক করা হয়। এইসময় বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ, কীর্তন এবং শঙ্খ বাজানো হয়। এরপর জগন্নাথ দেব এবং বলরাম দেবকে হাতি বেশে সাজানো হয়। এই সময় সুভদ্রা দেবীকে পদ্ম সাজে সাজানো হয়।
চলতি বছরে জগন্নাথ দেবের স্নান যাত্রা মহোৎসব পালিত হলো ২৮শে জুন|