জগন্নাথদেবের আবির্ভাব কাহিনি: চতুর্থ পর্ব

পূর্বসূত্র: গান্ধারীর অভিশাপে যদুবংশ ধ্বংস হল। বালীর স্ত্রী তারার অভিশাপে জরা ব্যাধের তিরের আঘাতে শ্রীকৃষ্ণের মৃত্যু হল। কৃষ্ণের আদেশে জরা তাঁর নাভিপদ্ম নিয়ে জ্ঞাতিদের সঙ্গে দ্বারকা ত্যাগ করে এলো নীলগিরি পর্বতে। সেখানে শবররাজ্য স্থাপন করে নির্জন গুহায় সবার অগোচরে সে কৃষ্ণের নাভিপদ্ম স্থাপন করল। পুজো করতে শুরু করল নীলমাধবরূপে। জরার মৃত্যুর পরও বংশানুক্রমে এই গোপনীয়তা বজায় রইল। যখন জরার উত্তরপুরুষ বিশ্বাবসু পুজোর অধিকার পেলেন, তখন উৎকলের রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নকে নীলমাধব বিষ্ণুরূপে দেখা দিলেন। বললেন, তাঁকে উদ্ধার করে জগন্নাথরূপে মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করতে। কিন্তু, কোথায় নীলমাধবকে পাওয়া যাবে, সে-কথা বললেন না। তাই উৎকলরাজ নীলমাধবের খোঁজে বিদ্যাপতি নামের এক চতুর ব্রাহ্মণকে দেশান্তরে পাঠালেন। তারপর...

 

ছুটে চলেছে বিদ্যাপতির ঘোড়া। সে ঘোড়া একমাত্র শবরদের টোলা, শবরদের বস্তি, শবরদের গ্রাম, শবরদের জনপদে এসে থামে, অন্য কোথাও থামে না। কারণ, এরকম কোন জনভূমিতেই হয়ত একদিন মিলতে পারে নীলমাধবের সন্ধান! এমনি করে কতশত মাঠ, ঘাট, গ্রাম, টোলা,বস্তি, জনপদ পেরিয়ে গেল; মাস পেরিয়ে বছর ঘুরল; তবু বিদ্যাপতি নীলমাধবের সন্ধান পেলেন না। কিন্তু, হতাশ হওয়া বিদ্যাপতির স্বভাব নয়, কাজেই তিনি মোটেই হতাশ হলেন না। গ্রাম-জনপদে অনুসন্ধান শেষ, অরণ্যজনপদ এখনো বাকি। তাই তাঁর ঘোড়া জনপদ ছেড়ে অরণ্যবাসী শবরদের খোঁজে ধরল অরণ্যপথ। সে এক গহন অরণ্য। পথ সংকীর্ণ। প্রাচীন সুউচ্চ বৃক্ষমালা সূর্যের প্রতিস্পর্ধি হয়ে সেই পথের দু'পাশে ঘনীভূত দাঁড়িয়ে আছে সুদীর্ঘ শাখা ছড়িয়ে।  যেন পণ করেছে, কিছুতেই প্রবেশ করতে দেবে না সূর্যের সুতীব্র আলো। তাই সারা পথ জুড়ে কেমন যেন একটা ঝুপসি অন্ধকার থিক থিক করে বিরাজ করছে! স্বভাবতই পথ বড় নির্জন। আর সেই নির্জনতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে সুতীব্র ঝিঁঝির বিদঘুটে ডাক! সে-ডাকে কোথাও যেন লুকিয়ে আছে অনাগত বিপদের পদধ্বনি! সেই পদধ্বনি শুনতে পেল বিদ্যাপতির অভিজ্ঞ অবচেতন মন। তিনি ব্রাহ্মণ, কিন্তু বীর এবং অস্ত্রধারী! তাই ভয় পেলেন না, সতর্ক হলেন, ঘোড়া ছোটলেন তীব্রগতিতে, হাত রাখলেন কোষের তরবারিতে। কিন্তু, তরবারি বার করবার অবসর পেলেন না। ঘোড়াটা হঠাৎ সুতীব্র-ভীত হ্রেষারবে অরণ্য কাঁপিয়ে দুরন্ত গতির মধ্যেই থামতে চাইল! কিন্তু, পারল না। অসম্ভব ঝাঁকুনিতে কেঁপে উঠল তার শরীর! সামনে মৃত্যু ফাঁদ, সুগভীর কূপ। বিদ্যাপতি তীব্র ঝাঁকুনিতে চমকে গেলেন, হুমড়ি খেয়ে ছিটকে পড়লেন দূরে। কিন্তু, ঘোড়াটা কিছুতেই বেগ সামলাতে পারল না--বেসামাল হয়ে আর্ত চিৎকার করতে করতে কুয়োর মধ্যে পড়ে গেল। মুহূর্তের মধ্যে যেভাবে ঘটনাটা ঘটে গেল, বিদ্যাপতির কিচ্ছু করার রইল না। তিনি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আরও গভীর বিপদের গন্ধে সচকিত হলেন। তাঁকে উঠে দাঁড়ানোর সুযোগ না-দিয়েই তাঁর চারপাশে ঝুপঝাপ করে গাছের অন্ধকার শাখা থেকে নেমে এল ছয়-সাত জন অরণ্যদস্যু। তাদের পরনে হরিণের ছাল, হাতে হরিণের শিং, চোখে জিঘাংসা।  বিদ্যাপতিকে হত্যা করতে তারা ঘেরা ছোট করতে করতে চতুর্দিক থেকে হরিণের সুতীক্ষ্ণ শিং উঁচিয়ে ছুটে এল। বিদ্যাপতিও বিদ্যুৎগতিতে তরবারি বের করলেন। প্রচণ্ড বিক্রমে তাদের প্রতিহত করে কোনরকমে উঠে দাঁড়ালেন। তারা সাত জন, তিনি একা। তাই, তাঁর সুদক্ষ অস্ত্রচালনার কাছেও দস্যুদের পটু প্রহারে তিনি পর্যুদস্ত হয়ে গেলেন। তাদের প্রহারে ক্ষতবিক্ষত হল তাঁর শরীর। কিন্তু, সংগ্রাম ছেড়ে পালালেন না, লড়াই করলেন ক্ষত্রিয়ের মতো। দীর্ঘ সময় ধরে চলল লড়াই। একসময় তাঁর পরাক্রমী তরবারির প্রহারে দুই দস্যুর মাথা কাটা গেল, তিন জন মারাত্মক আহত হয়ে ভূপাতিত হল, আর উঠল না। অবশিষ্ট দুজন প্রাণে বাঁচতে কোনরকমে ছুটে পালিয়ে গেল। এতক্ষণে বিদ্যাপতি যেন নিজের অবস্থাটা বোঝার অবসর পেলেন। এতক্ষণের যুদ্ধংদেহী ভাবটা প্রশমিত হতেই শরীর যেন হাল ছেড়ে দিতে চাইল। প্রায় সমস্ত শরীর ক্ষতবিক্ষত, আর তা থেকে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে রক্ত! অত্যন্ত অবসন্ন লাগছে। দাঁড়িয়ে থাকা অসম্ভব হয়ে উঠছে। তরবারিটাও অত্যন্ত ভারি মনে হচ্ছে! কিন্তু, এই অবস্থাতেও তাঁর মনে হল, পড়ে গেলে তো চলবে না। মরে গেলে চলবে না। তাঁর ওপর যে অনেক বড় দায়িত্ব, অনেক দায়। তিনি মরিয়া হয়ে তরবারিটা ফেলে দিলেন, শুকনো একটা ডাল অবলম্বন করে কোনরকমে সোজা হয়ে দাঁড়ালেন। বাঁচতে গেলে এখনই রক্তপাত বন্ধ করতে হবে, আর তার জন্য প্রয়োজন বনৌষধী। তিনি অতিকষ্টে শুকনো ডালের লাঠিতে ভর দিয়ে ওষুধের খোঁজে বাঁ-দিকের অরণ্যে প্রবেশ করলেন।

 

সময় যেন হিসেবের পথ ছেড়ে দিয়েছে। কতক্ষণ হাঁটছেন--খেয়াল করার মতো অবস্থা বিদ্যাপতির নেই। শুধু বাঁচার মরিয়া ইচ্ছেয় তাঁকে টেনে নিয়ে চলেছে। এবার সেই ইচ্ছেটাও যেন মরে আসতে লাগল। ওষুধ কোথায়! কই চোখে তো পড়ল না! ঘন অরণ্য পাতলা হতে শুরু করেছে। পা চলছে না, পায়ের পাতা টাল খাচ্ছে, চোখের পাতা ভারি হয়ে আসছে! হঠাৎ কাছেপিঠেই কোথাও মানুষের চিৎকার ভেসে এল! ঘুরেফিরে দস্যুদের ডেরায় এসে পৌঁছলেন নাকি বিদ্যাপতি! জীবনের আশা কোনদিকেই তাহলে রইল না! তবু চোখ খুলে আসন্ন বিপদের সম্মুখীন হতে চাইলেন বিদ্যাপতি। পারলেন না, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গেল। তিনি জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেলেন মাটিতে!

 

সূর্যের একফালি আলো এসে পড়েছে চোখে। চোখের পাতায় সেই আলোর উত্তাপ। বিদ্যাপতি চোখ মেললেন। সমস্তই যেন ছায়া ছায়া! ধীরে ধীরে ছায়ারা কায়া হল। তখন বুঝলেন, তাঁকে ঘিরে অরণ্যজীবী কয়েকজন মানুষের উৎসুক মুখ। একটা মুখও তাঁর চেনা নয়! এরা কারা? এদের মাঝে কী করে এলেন--কিছুই যেন চিন্তার স্রোতে দুয়ে দুয়ে এক করতে পারছেন না! উৎসুক মুখগুলোর একজনের মাথায় পালকের মুকুট, তিনি যেন বুঝতে পারলেন বিদ্যাপতির প্রশ্নের জট। তাই তিনি কথা বললেন প্রথম--'ওহে আগন্তুক, আপনি ভয় পাবেন না। আপনি এখন নিরাপদ আশ্রয়ে। ক্ষতআঘাত থেকেও বিপদমুক্ত। আমি শবররাজ, বিশ্বাবসু। আপনি পাঁচদিন যাবৎ হতচেতন ছিলেন। তাই হয়ত সবকিছুই এলোমেলো মনে হচ্ছে আপনার। আপনি কি মনে করতে পারছেন, আপনি কে?

'আমি? আমি কে?'--নিজেকেই যেন প্রশ্ন করলেন বিদ্যাপতি। 'আমি কে?'--স্মৃতির পাতায় চাপ পড়ল--'হ্যাঁ...মনে পড়েছে...আমি তো...বিদ্যাপতি...ব্রাহ্মণ। আমি...আমি...অরণ্যপথ দিয়ে যাচ্ছিলাম...তারপর দস্যুরা আক্রমণ করল..আমার ঘোড়া-অর্থসম্পত্তি সব হৃত গেল...!'

'আপনি কোথায় যাচ্ছিলেন? যদি বলতে পারেন, আপনি সুস্থ হলে, আপনাকে সেখানে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা করতে পারি।'--বললেন শবররাজ।

'মহারাজের আদেশে...'--উৎকল অধিপতির আদেশের কথা বলতে গিয়েই সচকিত হলেন বিদ্যাপতি। এতক্ষণে তাঁর কূটনৈতিক বোধ যেন তিনি ফিরে পেলেন আবার। না, আসল উদ্দেশ্যটা ব্যক্ত করা মোটেই ঠিক হবে না। তিনি কথা ঘোরালেন--'মহারাজের আদেশে কী না হয়! আমি সামান্য পথিকমাত্র, বেরিয়েছিলাম দেশভ্রমণে। আপনি যে আমার প্রাণরক্ষা করলেন, এর জন্য কী বলে যে কৃতজ্ঞতা জানাব...!'--বসতে গিয়ে বিদ্যাপতি কঁকিয়ে উঠলেন। সমস্ত শরীরে জড়িবুটির প্রলেপ, অনুভব করলেন সমস্ত শরীরেই নিদারুণ বেদনা।

শবররাজ বিশ্বাবসু তাঁকে থামিয়ে দিলেন--'আহা উঠবেন না, এখন কয়েকদিন শয্যাবিশ্রাম আবশ্যক। আপনি আহত হয়ে আমার বসতির সীমায় এসে জ্ঞান হারিয়ে ছিলেন, আর আমার সীমাপ্রহরীরা আপনাকে দেখতে পেয়ে এখানে নিয়ে এসেছিল--তাই আপনার প্রাণরক্ষা হল। আসলে আমি বা আমরা তো নিমিত্তমাত্র, সবই সেই লীলাময় নীলমাধবের ইচ্ছে! আপনি বিশ্রাম করুন, আমরা পরে আসব।' শবররাজ বিদায় নিয়ে চলে গেলেন। কিন্তু, বিদ্যাপতিকে চমকে দিয়ে গেলেন। এ কী বললেন শবররাজ! নীলমাধব! শবর! নীলমাধব! নীলমাধব! শবর!--সবই তো মিলে যাচ্ছে! হে কৃপাময়, তাহলে কি তুমি আমায় এমনি করে তোমার আবাসেই নিয়ে এলে! এও বুঝি তোমার লীলা!--বিদ্যাপতির জোড়া হাত উঠে এলো কপালে, চোখ বেয়ে নেমে এলো ইষ্টপ্রাপ্তির অশ্রু।

 

বিশ্বাবসুর কন্যা, ললিতা। অরণ্যফুলের মতো সুন্দর। পাখির কূজনের মতো সরল। বর্ষার নদীটির মতো উদ্ভিন্ন যৌবনা। তার ওপর পড়ল অসুস্থ বিদ্যাপতির সেবা-শুশ্রূষার ভার। অরণ্যসাম্রাজ্যে কেউ কারুর দাস নয়, দাসী নয়--রাজা স্বাবলম্বী, রাজকন্যাও তাই। রাজঅতিথির সেবা তাই রাজকন্যাকেই নিজের হাতে করতে হয়। এভাবেই চলে, এভাবেই চলছিল। কিন্তু, বিদ্যাপতির মনে তখন সিদ্ধির অভিসন্ধি। তিনি 'এভাবে' চলতে দিলেন না। তিনি বিবাহিত পুরুষ। প্রেমের ছলাকলায় নিপুণ। তিনি জানেন রমণীর মন হরণ করতে। তাঁর ক্ষত্রিয়ের মতন সুঠাম শরীর, মুখে পণ্ডিত্যের প্রসন্নতা। পতঙ্গ ঝাঁপ দেবার জন্য এটুকু আগুনই যথেষ্ট। ললিতা ঝাঁপ দিল। সে বিদ্যাপতির জন্য পাগল হল। তার সেবায় শুশ্রূষায় বিদ্যাপতি ধীরে ধীরে ওঠাবসায় সক্ষম হলেন, হাঁটাচলায় সক্ষম হলেন। তখন প্রেমের ফাঁদ আরও শক্ত হল। আলিঙ্গন আরও দৃঢ় হল। চলতে লাগল একান্তে, গোপন প্রেমবিহার। তেমনই এক মুহূর্তে বিদ্যাপতি ললিতার কাছ থেকে কথায় কথায় জেনে নিতে চাইলেন, নীলমাধবের ঠিকানা। কিন্তু, ললিতা তাঁকে হতাশ করল। সে নীলমাধবের নামটুকু ছাড়া আর কিচ্ছু জানে না। একমাত্র পিতা ছাড়া শবরকুলের কেউ কিচ্ছু জানে না। জানতেও নেই!

 

সেদিন রাতে বিদ্যাপতির কিছুতেই ঘুম আসছিল না। সাতপাঁচ কতচিন্তাই যে তাঁর মনে ঢেউ খেলছিল, একমাত্র তিনিই জানেন! ললিতা কিছু জানে না, শবরেরা কিছু জানে না। জানেন একমাত্র বিশ্বাবসু! তার মানে, চরম গোপন স্থানেই আছেন নীলমাধব। কিন্তু, তাঁর হদিশ বিশ্বাবসুর কাছ থেকে জানা যাবে কী করে! ভাবছেন, কিন্তু, রাস্তা খুঁজে পাচ্ছেন না। অস্বস্তি বাড়তে লাগল, চোখের ঘুম চলে গেল। অন্ধকার ঘরে অস্থির পায়চারি করতে লাগলেন বিদ্যাপতি।

 

রাত তখন অনেক। আকাশে ম্লান জোৎস্না। হঠাৎ জানলা বেয়ে চোখ গেল, থমকে গেলেন বিদ্যাপতি--বাইরে একটা আবছা ছায়ামূর্তি! জানলার কাছে ত্বরিতে এগিয়ে এলেন তিনি। ছায়ামূর্তিটা মনে হচ্ছে যেন অনেকটা চেনা! শবররাজ নয়? হ্যাঁ, তাই তো মনে হচ্ছে! এতরাতে লোকটা মশাল না-জ্বালিয়ে যাচ্ছে কোথায়! বিদ্যাপতি পা টিপে টিপে বেরিয়ে এলেন ঘর থেকে। অনুসরণ করলেন ছায়ামূর্তির। লোকটা এগিয়ে যাচ্ছে দূরে নীলগিরি পর্বতের দিকে। ধীরে ধীরে অরণ্য ঘনীভূত হল, অন্ধকার গাঢ় হল। ছায়ামূর্তিটা সেই অন্ধকারে হারিয়ে গেল। বিদ্যাপতি কিছুতেই আর তার সন্ধান পেলেন না। আর উপায় না-দেখে বিদ্যাপতি ঘরে ফিরলেন। জানলায় চোখ পেতে বসে রইলেন বিগত পথের দিকে, ছায়ামূর্তির ফেরার অপেক্ষায়। রাত যখন শেষ হয় হয়--তখন দেখতে পেলেন, হ্যাঁ, ছায়ামূর্তি শবররাজ বিশ্বাবসুই বটে! হাতে খালি বুনোলতার সাজি আর অর্ঘ্যপত্র। তার মানে, লোকটা নীলমাধবের পুজো করতেই গিয়েছিল। হ্যাঁ, রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে,  সবার কাছে গন্তব্য গোপন রাখতে! নীলগিরি পর্বতের দিকে। কিন্তু, এতবড় পর্বতমালার ঠিক কোথায়! সেটাই তো একটা নিদারুণ রহস্য। নিছক পিছু নিয়ে এ-রহস্যের কিনারা করা যাবে না। এখন একটাই উপায় আছে হাতে। উপায় নয়, অস্ত্র। মোক্ষম অস্ত্র! কিন্তু, সেই অস্ত্র দিয়ে বিদ্যাপতি কীভাবে বিশ্বাবসুর সর্বনাশ করে জগন্নাথদেবকে উদ্ধার করলেন, সে কাহিনি শোনাব আগামিকাল, শেষ পর্বে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...