সামনেই জগদ্ধাত্রী পুজো। চন্দননগরে এই পুজোটি দুর্গাপুজোর থেকেও জমজমাট হয়। সেই উপলক্ষে প্রশাসনের তরফে বেশ কিছু নীতি গঠন না করলে সুষ্ঠুভাবে পুজো সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না তা বলাই বাহুল্য। সেই কারণেই মঙ্গলবার রাতে পুজো নিয়ে পুলিশ, আয়োজক কমিটি, চন্দননগর পুরসভা সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে এক উচ্চপর্যায়ের প্রস্তুতি বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। ওই বৈঠকে স্থির হয়, পুজোর উদ্বোধন থেকে বিসর্জন গোটা প্রক্রিয়াটাই হবে সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে।
এদিন জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন নিয়ে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে রবীন্দ্রভবনে প্রস্তুতি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, পুরসভা, দমকল, বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি, আরপিএফ, জিআরপি সহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ছিলেন। সেখানেই পুজোর চারদিন কিভাবে শহরকে নিরাপদে রাখা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়। তাতেই বেশিরভাগ পুজো মন্ডপকে সি সি ক্যামেরার নজরদারিতে রাখার পরিকল্পনায় সিলমোহর দেওয়া হয়। বিসর্জনের ঘাটেও সিসি ক্যামেরার নজরদারি সুনিশ্চিত করা হয়েছে। শোভাযাত্রার গাড়িগুলির চালকের সামনের কাঁচ যাতে আলোকসজ্জার কারণে ঢাকা না পড়ে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
নেওয়া হয়েছে আরও একগুচ্ছ পরিকল্পনা। পুজোর সময় চন্দননগর কমিশনারেটের অতিরিক্ত নিরাপত্তার সঙ্গে জিআরপি এবং আরপিএফ-এর সক্রিয়তার ওপরে জোর দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গেই পুজোর মরশুমে শহর পরিষ্কার রাখা এবং বিসর্জনের ঘাটের প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত পূরকর্মীদের কাজে লাগানো হবে। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির জানান, জগদ্ধাত্রী পুজো নির্বিঘ্নে মেটাতে সবাইকে নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা তৈরী করা হয়েছে। পুজোকে কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রাখা হচ্ছে। থাকবে বিভিন্ন রকম নজরদারি।