নতুন বছর ২০২৪ সালে মহাকাশ গবেষণায় কি কি পরিকল্পনা করেছে ইসরো সংস্থা?

নতুন বছরে পা দিল পৃথিবী। গতবছর হাসি-কান্নায় মেতেছে সকলের মন। এবার নতুন বছরে নতুন ভাবে শুরু করছে সকলে। ২০২৩ সাল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার জন্য এক বিরাট সাফল্যের বছর ছিল।

চন্দ্রযানের সাফল্য থেকে সূর্যের উদ্দেশ্যে আদিত্য এল-১-এর পাড়ি। সবটাই সফল হয়েছে ইসরো সংস্থায়। ভারতে ইতিহাস তৈরি করেছে তাঁরা। এবার ২০২৪-এ এসে নতুন পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন ইসরো।

গত সোমবার  ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ এক সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন যে  এই নতুন বছর ২০২৪-এ ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা কমপক্ষে ১২টি গগনযান উৎক্ষেপণ পরিচালনা করবে। এই পরিককল্পনা সফলভাবে ভাবে হলে সংস্থার আগের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যাবে। তিনি বলেছিলেন, “আমরা 2024 সালের জন্য কমপক্ষে ১২টি মিশন পরিকল্পনা করছি,” ভারতের প্রথম পোলারিমেট্রি মিশন, এক্স-রে পোলারিমিটার (এক্সপোস্যাট) এর সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে। আমাদের হার্ডওয়্যার তৈরি করার এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা চালানোর ক্ষমতার উপর নির্ভর করে এটি বাড়তে পারে।”

1686232413_somnath-isro

ইসরো ২০২৩ সালে ৭টি মিশন চালু করেছিল, যার মধ্যে রয়েছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে চন্দ্রযান-৩ অবতরণ এবং ভারতের প্রথম সৌর মানমন্দির, আদিত্য-এল১, তার গন্তব্য ল্যাগ্রঞ্জ পয়েন্ট-১-এ উৎক্ষেপণ হয়েছে । এই উৎক্ষেপণগুলি ছাড়াও, এবার মহাকাশ সংস্থা গগনযান, মহাকাশযান এবং পুনঃব্যবহারযোগ্য লঞ্চ যানবাহনের জন্য ভবিষ্যতের মিশনের পথ প্রশস্ত করছে ও বড় প্রযুক্তি প্রদর্শনও পরিচালনা করছে।

তিনি আরও বলেন যে, “এ বছর হবে ‘গগনযানের বছর’। ২০২৪ গগনযানের প্রস্তুতির বছর হতে চলেছে। আমরা ২০২৫ সালে লঞ্চ করার লক্ষ্য রাখছি, কিন্তু এই বছর আমরা চূড়ান্ত মিশনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আগে কমপক্ষে আরও দুটি রাউন্ড পরীক্ষা করব।”

জানা গিয়েছে যে গগনযান, ভারতের প্রথম মানব স্পেসফ্লাইট মিশন, তিন দিনের মিশনে তিন নভোচারীর একটি ক্রুকে পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ৪০০কিলোমিটার উপরে কক্ষপথে নিয়ে যাবে এবং তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনবে।

এছাড়া জানা গিয়েছে যে অক্টোবরে TV-D1 পরীক্ষামূলক ফ্লাইট প্রদর্শনের পর, ২০২৫ সালের জন্য নির্ধারিত মনুষ্যবাহী গগনযান মিশনের আগে একটি মানবিক রোবট, ব্যোমিত্র নামে একটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করবে এবং সম্ভবত একটি মানবহীন ফ্লাইট পরিচালনা করবে ইসরো।  সেই প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য রয়েছে  মানব-রেটেড লঞ্চ ভেহিকল যাতে নিরাপদে নিয়ে যাওয়া যায় এবং মহাকাশে ফেরত পাঠানো যায় এবংপরিবেশ প্রদানের জন্য লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম এবং জরুরী উদ্ধার ব্যবস্থা (জরুরি উদ্ধার) সিস্টেম) করা যাবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...