আজ ২২-এ সেপ্টেম্বর। দিনটা মনে আছে? আজকেই জেগে উঠতে পারে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞানের। ইতিমধ্যে চাঁদে সূর্যোদয় হয়েছে। এটা ইসরো জানিয়ে দিয়েছে। ফের ১৪ দিন সুর্যের আলোয় ঝকঝক করবে চাঁদের মাটি। তবে এই বিষয়টা নিয়ে সবাই ব্যাকুল কি হতে পারে, সত্যি কি জেগে উঠতে পারবে?
ইসরোর মতে যদি বিক্রম ও প্রজ্ঞানের যন্ত্রপাতির ব্যাটারি সর্যের তাপে চার্জ হয় তবে ফের জেগে উঠতে পারে। ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা, ইসরো এখন ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করছে। যদি ইসরোর সেই কাজে সফল হয়, তাহলে চাঁদের মাটিতে আরও কয়েকদিন গবেষণা চালাতে পারবে ল্যান্ডার এবং রোভার।
সম্প্রতি ইসরোর এক্স হ্যান্ডেল পেজ থেকে ১৮ দিন আগেই জানা গিয়েছিল যে চন্দ্রযান ৩-এর রোভার তার কাজ সম্পন্ন করেছে। তবে ফের জেগে উঠলে হতে পারে নতুন আরও কিছুর আবিষ্কার।
চন্দ্রযান-৩-এর প্রত্যেকটি যন্ত্রপাতিগুলির শক্তির মূল উৎসই হল সূর্যের আলো। সৌরশক্তির দ্বারাই কাজ করছে তারা। তাই সূর্যের আলো যেই মুহুর্তে চলে যায় বিক্রম বা প্রজ্ঞানের সমস্ত যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে পড়তে থাকে। ইসরো আগেই জানিয়েছে যে তাদের আয়ু মাত্র ১৪ দিন। ফলে নিয়ম অনুযায়ী বিক্রম ও প্রজ্ঞানের ‘দিন ফুরিয়ে গিয়েছে’। যদিও ইসরোর বিজ্ঞানীরা চন্দ্রযান ৩-এর জেগে ওঠার বিষয়ে খুব একটা আশাবাদী নন। কারণ, চাঁদে রাতের তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যায়। সেই তীব্র ঠান্ডা চন্দ্রযান ৩ ঠিক কতটা সহ্য করতে পারবে তা নিয়ে চিন্তা রয়েছে বিজ্ঞানীরা।
যদি বিক্রম ও প্রজ্ঞান না জেগে উঠতে পারে তবে চিরকালের জন্য ভারতের লুনার অ্যাম্বাসেডার হয়ে চাঁদের মাটিতেই থেকে যাবে।
২৩ অগাস্ট, ২০২৩ এই দিনটা ভারতবাসীর তথা গোটা বিশ্বের জন্যে একটা বিশাল গর্বের দিন। কোনওদিন কেউ এই দিনটা ভুলতে পারবে না। এই দিনেই চন্দ্রযান ৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটিতে সফলভাবে অবতরণ করতে পেরেছিল। ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইতিহাস ইসরো তৈরি করেছে।