স্কিন ক্যান্সার ‘মিলেনোমা’ ঠেকাতে এক কার্যকরী ন্যানো-ভ্যাকসিন আবিষ্কার করলেন ইজরায়েলের গবেষকরা। স্কিন ক্যান্সারগুলির মধ্যে ‘মেলানোমা’ হল সবচেয়ে ক্ষতিকারক।
ইজরায়েলের তেল আভিভ ইউনিভার্সিটির একদল বিজ্ঞানী এই ন্যানো-ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সক্ষম হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে কিছু টিউমার ও ইঁদুরের উপর ন্যানো-ভ্যাকসিন প্রয়োগ করার পর ফল কার্যকরী হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
নেচার ন্যানোটেকনোলজি জর্নালে রিসার্চ সম্বন্ধীয় উদ্দেশ্য ও কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়। রিসার্চটি মূলত ন্যানো কণার উপর, যা এই নতুন ভ্যাকসিনের উপাদান রূপে পরিবেশিত করা হবে। ইম্যুওনোথেরাপির সাথে সংযোগ ঘটাতে পারলে জরুরী অবস্থাতেও স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সক্ষম হবে ন্যানো কণার মাধ্যমে।
প্রসঙ্গত, মেলানোমা ত্বকের কোষে থেকে নিজের উন্নতিসাধন করে মেলানিন অথবা ত্বক রঙ্গক উৎপন্ন করে। যদিও ভ্যাকসিনটি বাজারে আসতে এখনও এক দশক সময় লেগে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বানিজ্যিক উৎপাদনের জন্য একটি ফার্মাসিউটিকাল কোম্পানি তৈরীর পরিকল্পনায় রয়েছেন গবেষকেরা, ইঁদুরের পর মানব শরীরে এই পরীক্ষা সফল হলে ওষুধটি বানিজ্যিক স্বার্থে ব্যবহার করা হবে।
“ক্যান্সার ও বিশেষত মেলানোমা ঠেকাতে কেমোথেরাপি, রেডিয়েশান থেরাপি এবং ইম্যুনোথেরাপির মতো চিকিৎসাগুলি বছরের পর বছর ধরে চলছে; কিন্তু ভ্যাকসিন প্রয়োগ, যা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ভাইরাল রোগের প্রতিকার হিসেবে কার্যকরী হয়েছে, তা ক্যান্সারের প্রতিকার রূপে এখনও ব্যবহার করা হয়নি,” বলছেন তেল আভিভ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রনিত সাৎচি-ফেইনারো।
মূলত প্রাথমিক টিউমারের ক্ষেত্রে ন্যানো কণা ব্যবহার করা হত, পরে উদ্ভাবনশীল ভ্যাকসিন ও ইম্যুওনোথেরাপির মিশ্রণে সেটি মেলানোমা আক্রান্ত মডেল ইঁদুরের শরীরে পরীক্ষা করা হয়।
“আমরা মনে করছি অন্যান্য ক্যান্সারগুলির ক্ষেত্রেও কার্যকরী হবে আমাদের এই ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য ক্যান্সার ন্যানো ভ্যাকসিনগুলি নির্মাণ করার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিষ্ঠান একেবারে উপযুক্ত।“ বলছেন তিনি।